ফের ফুটবলের আসর নবদ্বীপে

ফুটবলের মরা গাঙে জোয়ার এনেছিল ‘মিউনিসিপ্যাল সকার কাপ’। বছরের শুরুতেই সেই টুর্নামেন্ট অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছিল। এক মাসের টুর্নামেন্টের সাফল্যের রেশ ধরে শহরে আবার শুরু হতে চলেছে বড় মাপের আর এক প্রতিযোগিতা। এবার উদ্যোগী পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:১০
Share:

ফুটবলের মরা গাঙে জোয়ার এনেছিল ‘মিউনিসিপ্যাল সকার কাপ’। বছরের শুরুতেই সেই টুর্নামেন্ট অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছিল। এক মাসের টুর্নামেন্টের সাফল্যের রেশ ধরে শহরে আবার শুরু হতে চলেছে বড় মাপের আর এক প্রতিযোগিতা। এবার উদ্যোগী পুলিশ।

Advertisement

নদিয়া জেলা পুলিশের উদ্যোগে এবং নবদ্বীপ থানার ব্যবস্থাপনায় দোলের পরদিন থেকেই শুরু হতে চলেছে ১৬ দলের এই নকআউট টুর্নামেন্ট। সহযোগিতায় নবদ্বীপ পুরসভা, স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন, রেফারি অ্যাসোসিয়েশন এবং স্থানীয় ক্লাব গুলি। জানা গিয়েছে, এই টুর্নামেন্টে অংশ গ্রহণ করছে নবদ্বীপ থানা এলাকার ১৬টি ফুটবল দল। এরমধ্যে নবদ্বীপ শহরের সাতটি প্রথম ডিভিশন ফুটবল ক্লাব ও পুরসভার স্পোর্টস অ্যাকাডেমি তো থাকছেই। সঙ্গে আটটি পঞ্চায়েত থেকে একটি করে দল।

কেন এই টুর্নামেন্ট? সে প্রসঙ্গে নদিয়ার পুলিশ সুপার অণর্ব ঘোষ বলেন, “রাজ্য সরকার স্থানীয় খেলাধুলোর মানোন্নয়নের জন্য বিভিন্ন থানা এলাকায় এই ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। এ ছাড়া এই ধরনের প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে পুলিশের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সম্পর্কটা সহজ হবে।” তাঁর দাবি এই খেলা যে ফুটবলই হতে হবে তার কোনও মানে নেই। যে অঞ্চলের যে খেলা, তাকে উৎসাহ দেওয়াই উদ্দেশ্য। নবদ্বীপে ফুটবল নিয়ে একটা উন্মাদনা দেখা দিয়েছে তাই সেটিকেই বেশি করে উৎসাহ দিতে চাইছেন তাঁরা।

Advertisement

নবদ্বীপের আইসি তপন কুমার মিশ্র জানিয়েছেন ৬ থেকে ১৪ মার্চ এই টুর্নামেন্ট চলবে। নক আউট পদ্ধতিতে এই টুর্নামেন্টের প্রতিটি খেলা ২০-১০-২০ মিনিট হিসাবে হবে। প্রতিদিন দু’টো করে ম্যাচ থাকবে। স্থানীয় ক্রিকেট লিগ চলায় প্রতিটি ম্যাচই কর্ম মন্দির ক্লাবের মাঠে হবে। সময় ৩টে থেকে ৬টা। ১৪ মার্চ ফাইনাল। তার আগে হাতে রাখা হচ্ছে একদিন। কোনও আর্থিক পুরস্কার অবশ্য থাকছে না। রানার্স, উইনার্স ট্রফি, শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার থাকছে। প্রতিটি টিমের প্রত্যেক খেলোয়াড়কেই জার্সি দেওয়া হবে। তপনবাবু বলেন, “টুর্নামেন্টের অন্যতম শর্ত প্রতিটি খেলোয়াড়কে নবদ্বীপ থানা এলাকার বাসিন্দা হতে হবে।”

টুর্নামেন্টের খবর ছড়াতেই সাজসাজ রব পড়ে গিয়েছে নবদ্বীপের ক্লাবগুলিতে। ইতিমধ্যেই দল তৈরির প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ক্লাবগুলি। নবদ্বীপ মিউনিসিপ্যাল স্পোর্টস অ্যাকাদেমির সম্পাদক তথা নবদ্বীপের পুরপ্রধান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, “প্রথম থেকেই এই সরকার খেলাধুলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। সেই উদ্দেশেই আমরাও নবদ্বীপ পুরসভায় সকার কাপ চালু করেছি। তারপর আবার একটি বড় মাপের ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরুর খবরে আমরা খুবই উৎসাহিত। আমাদের দলও সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রস্তুতি নিয়ে খেলতে নামবে।” নবদ্বীপের বড়ালঘাট স্পোর্টিং, উদয়ন সঙ্ঘ, নির্ভিক সমিতি, কর্মমন্দির, অ্যাথলেটিক ক্লাব, আজাদহিন্দ ক্লাব বা নদিয়া ক্লাবের মতো নামি ক্লাবগুলি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি নিচ্ছে। নদিয়া ক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক লালমোহন মোদক বা বড়ালঘাট স্পোর্টিংয়ের লাল্টু ভুইঞারা জানান, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য এখনও সে ভাবে প্রচার হয়নি, তাতেই নবদ্বীপের ফুটবল প্রেমীদের উৎসাহ তুঙ্গে।

নবদ্বীপ স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জয়ন্ত গোস্বামী বলেন, “সকার কাপের থেকেও এই প্রতিযোগিতার গুরুত্ব অনেক বেশি। তার কারণ এখানে যাঁরা খেলবেন তাঁরা প্রত্যেকেই স্থানীয়। ফলে উৎসাহের ঢেউও বেশি।”

দুর্ঘটনায় মৃত্যু। দাদার দেহ দাহ করে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাক্টর থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। বুধবার রাতে কান্দি-বহরমপুর রাজ্য সড়কের উপর মনোহরপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত মিলন রাজবংশী(৪৬) কান্দি লাহারপাড়ার বাসিন্দা। ওই দিন সকালে জেঠতুতো দাদা রাজকুমার রাজবংশীর মৃতদেহ বহরমপুরের শ্মশানে দাহ করে ট্রাক্টরে করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় ট্রাক্টরে চেপে আসার সময় টাল সামলাতে না পেরে তিনি পড়ে যান। তাতেই মারা যান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement