ফের বোমাবাজি শান্তিপুর কলেজে

ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হল শান্তিপুর। মঙ্গলবারের রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবারেও বোমার শব্দে কেঁপে উঠল শান্তিপুর কলেজ। এদিন কলেজের ভিতরে ও বাইরে চলে বোমাবাজি। আতঙ্কিত কলেজ পড়ুয়ারা কলেজ ছেড়ে পালিয়ে যান। শিকেয় ওঠে পঠনপাঠন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিপুর শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৪ ০৭:২৭
Share:

ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হল শান্তিপুর। মঙ্গলবারের রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবারেও বোমার শব্দে কেঁপে উঠল শান্তিপুর কলেজ। এদিন কলেজের ভিতরে ও বাইরে চলে বোমাবাজি। আতঙ্কিত কলেজ পড়ুয়ারা কলেজ ছেড়ে পালিয়ে যান। শিকেয় ওঠে পঠনপাঠন। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ চয়ন ভট্টাচার্য বলেন, “যেভাবে কলেজে গণ্ডগোল হচ্ছে তাতে ছাত্রদের পাশাপাশি আমরাও আতঙ্কিত। এইসব ঘটনার জন্য কলেজে পড়ুয়াদের উপস্থিতি প্রায় ত্রিশ শতাংশ কমে গিয়েছে।” ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আগে থেকেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কলেজের পরিবেশ। ছাত্র সংসদ গঠনের দিন সাধারণ সম্পাদকের অনুগামীদের মিছিলে গুলিবিদ্ধ হন একজন। বুধবার সাধারণ সম্পাদক মনোজ বিশ্বাস বলেন, “আমি সাধারণ সম্পাদক হওয়াতে আমাদের সংগঠনের কলেজ ইউনিটের সভাপতি হাসিবুল শেখ ও তাঁর অনুগামীদের গোঁসা হয়েছে। সেই রাগে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের কলেজে ঢুকতে দিচ্ছে না। এদিন আমরা ঢুকতে গেলে আমাদের লক্ষ করে বোমা মারে।” হাসিবুল শেখের পাল্টা অভিযোগ, “মনোজ বিশ্বাস সাধারণ সম্পাদক হয়ে কলেজে রীতিমতো সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। আমরা যাতে কলেজে না ঢুকি তাই লোকজন এনে আমাদের দিকেই বোমা ছুড়েছে।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অয়ন দত্ত বলেন, “এমন কোনও ঘটনার কথা আমার জানা নেই। কী ঘটেছে তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।” এদিন সন্ধ্যায় শান্তিপুরের বেরপাড়া কলমদানি এলাকায় প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের বাড়িতে ঢুকে তার পরিবারের লোককে মারধর ও শূন্যে গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এলসাকার মানুষ। তৃণমূলের পুরপ্রধান অজয় দে বলেন, “কোনও কমের উচ্ছৃঙ্খলা আমরা মেনে নেব না। প্রশাসনকে বলেছি কড়া পদক্ষেপ করতে।’’ জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমণ মিশ্র বলেন, “শান্তিপুরে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। সেখানে যাতে কোনও রকম গোলমাল না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন