এক মহিলাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে স্বামীকে গণ-ধোলাই দিল প্রতিবেশীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বহরমপুর থানার বানজেটিয়া এলাকার হাতিনগর পঞ্চায়েতের গ্রিনফার্ম এলাকায়। মৃতার নাম মায়া মণ্ডল (২৬)।
এ দিন দুপুরে জানালা থেকে ধোঁয়া বের হতে থেকে প্রতিবেশীরা ওই বাড়ির সামনে ভিড় করতেই স্বামী সুজয় মণ্ডল ও শাশুড়ি শোভা মণ্ডল পালানোর চেষ্টা করেন। তখনই স্থানীয় যুবকরা মা ও ছেলেকে আটকে গণপ্রহার দেয়। সুজয়বাবুকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুজয়বাব ও শোভাদেবীকে গ্রেফতার করে। তবে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয় । জানা গিয়েছে, ১১ বছর আগে বহরমপুর থানার কোদলার বাসিন্দা মায়াদেবীর সঙ্গে সুজয় মণ্ডলের বিয়ে হয়। তাঁদের সাড়ে চার বছরের একটি ছেলেও আছে। ঘটনার আগেও মায়াদেবী স্কুল থেকে সুমনকে নিয়ে আসেন। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, তারপরেই স্বামী ও শাশুড়ি মিলে মায়াদেবীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। পরে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
মায়াদেবীর দাদা দয়াল মণ্ডল বলেন, “বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য বোনের উপরে অত্যাচার চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিয়ের সময়ে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও তিন ভরি সোনার গয়না দেওয়ার পরেও বাড়ি থেকে পণ নিয়ে আসার জন্য বোনের উপরে চাপ দিত। আমরা পরেও টাকা দিয়েছি।”
প্রতিবেশীদের অভিযোগ, মায়াদেবীর মৃত্যুর খবর বাপের বাড়িতে জানাতেও অস্বীকার করেন সুজয়বাবু। তখন স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে মারধর শুরু করেন।
মায়াদেবীর ছেলে সুমন জানিয়েছে, “ঠাকুমা, বাবার সঙ্গে মা-র অশান্তি চলছিল। কাল রাতে মা কিছু খায়নি। আমাকে স্কুল থেকে নিয়ে আসার পরে মা ঘরের মধ্যে খাটে শুয়েছিল। আমি অন্য ঘরে খেলছিলাম।”
শোভাদেবী অবশ্য বলেন, “বুধবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়। এ দিন স্কুল থেকে ছেলেকে নিয়ে আসার পরে বাড়িতে একা ছিল। আমি ও সুজয় ব্যাঙ্কে গিয়েছিলাম কাজে। বাড়ি ফিরে এসে দেখি বৌমা গায়ে আগুন দিয়েছে।”