বাজছে মাইক। —নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় প্রকাশ্যে মাইক বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে প্রশাসনের। কিন্তু প্রশাসনের সেই বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করেই সোমবার মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনও মাইক বাজল মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর বইমেলায়।
রঘুনাথগঞ্জ শহরের মধ্যস্থল ম্যাকেঞ্জি ময়দানে চলছে এই বইমেলা। শহর জুড়ে তিন-তিনটি মাধ্যমিক স্কুলের প্রায় সাড়ে পাঁচশো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে এবারে। বইমেলার মাঠ লাগোয়া ২০০ মিটার এলাকার মধ্যে জনা ১৪ পরীক্ষার্থী রয়েছে। এক পরীক্ষার্থীর বাবার অভিযোগ, “বইমেলার সঙ্গে জড়িত সিপিএমের তাবড় নেতারা। সবাই পরিচিত। অনেকেই আবার শিক্ষক। তাঁরা তো বোঝেন মাইক বাজলে পরীক্ষার্থীদের কী অসুবিধে হয়। তা সত্ত্বেও দুপুর থেকে রাত্রি পর্যন্ত বিভিন্ন দিকে ছ’ছটা মাইকের চোঙ লাগিয়ে অনুষ্ঠান চলছে।” আর এক ছাত্রীর মায়ের কথা, “আশা ছিল পরীক্ষার দিন থেকে অন্তত মাইক বাজবে না। কিন্তু এ দিনও মাইক চলেছে অন্য দিনের মতোই। ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলা চলার কথা। জানি না এ রকমটা ক’দিন চলবে।”
বইমেলা কমিটির সভাপতি সিপিএমের মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য ও সম্পাদক সোমনাথ সিংহরায় বলেন, “মাইক বাজিয়ে সরকারি গ্রামীণ মেলাও তো চলছে বহু ব্লকেই। তবে বইমেলায় আমরা মাইক বা চোঙ ব্যবহার করছি না। বক্স বাজাচ্ছি। এতে কারও অসুবিধে হওয়ার কথা নয়।”
তৃণমূলের জেলা শিক্ষাসেলের চেয়ারম্যান শেখ ফুরকান বলেন, “মাইকের ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত ছিল মেলা কর্তৃপক্ষের। বইমেলার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন শিক্ষিত ও দায়িত্বশীল মানুষজন। তাঁরা যদি আইন ভাঙ্গেন, প্রশাসনের উচিত ব্যবস্থা নেওয়া।”
যথারীতি পুলিশ-প্রশাসন কিছুই জানত না। জঙ্গিপুরের মহকুমাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা বলেন, “বইমেলায় মাইক বাজানোর কোনও অনুমতিই কাউকে দেওয়া হয়নি। বই মেলার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। পুলিশকে বলছি ব্যবস্থা নিতে।” সন্ধে ৭টা নাগাদ মহকুমাশাসকের হস্তক্ষেপেই মাইক থামে।