সততার পরিচয় দিলেন বাঁকুড়া রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ বিষ্ণু। ভরতপুর থানার মালিহাটি কাঁদরা গ্রামের বাসিন্দা সৌরভ বহরমপুরে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে আসার সময়ে পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিসনের কাটোয়া-আজিমগঞ্জ শাখার খাগড়াঘাট স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের উপরে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা কুড়িয়ে পান। পরে ওই টাকা তিনি কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টারের কাছে জমা দেন। সৌরভ বলেন, “সপ্তাহ খানেক আগে বহরমপুরে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে আসার জন্য সকালের দিকে মালিহাটি স্টেশন থেকে কাটোয়া-আজিমগঞ্জ লোকাল ট্রেনে চড়ে খাগড়াঘাট স্টেশনে এসে নামি। ট্রেন থেকে নেমে হেঁটে স্টেশনের বাইরে বের হওয়ার সময়ে প্ল্যাটফর্মের উপরে হাজার টাকার ৫টি এবং ৫০০ টাকার ১টি নোট পড়ে থাকতে দেখি। তখন আমি ওই টাকা কুড়িয়ে নিয়ে গিয়ে স্টেশন মাস্টারের কাছে জমা দিই। অসতর্ক মূহূর্তে রেলের কোনও যাত্রীর পকেট থেকে সম্ভবত ওই টাকা পড়ে যায়।”
ওই টাকা ফিরিয়ে দিয়ে সৌরভ যে সততা দেখিয়েছে, তাতে ছেলেকে নিয়ে গর্বিত ব্যবসায়ী বাবা রবীন্দ্রনাথ বিষ্ণু ও মা অলোকাদেবী। তাঁদের দুই সন্তানের মধ্যে ছোট সৌরভ। বড় ছেলে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেঙ্গালুরুতে একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত। বাঁকুড়া রামকৃষ্ণ মিশনে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করার পরে সৌরভ কাটোয়া শ্রীরামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। সৌরভের কথায়, “টাকা ফেরত দেওয়ার কথা শুনে বন্ধুদের গলায় অবশ্য অন্য সুর ছিল। টাকা ফেরত দিয়ে আমি বোকামি করেছি বলে তারা জানায়। কিন্তু আমি নিজের কাছে সত্ থাকতে চেয়েছি বলেই ওই টাকা ফিরিয়ে দিয়েছি। সেই সঙ্গে যাঁর টাকা হারিয়েছে তিনি স্টেশনে খোঁজ করলে টাকা ফিরে পাবেন, এই ভাবনাও কাজ করেছিল।”