হরিহরপাড়ায় বাড়ছে ছিনতাই, উদ্বেগ

গল্প হয়ে যাওয়া ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী যেন আবার উঠে আসছে মাটি ফুঁড়ে। দূর থেকে দড়ির ফাঁস ছুড়ে বাইক আরোহীকে ধরাশায়ী করে মোটরবাইক লুঠ হচ্ছে। বহরমপুর-হরিহরপাড়া রাজ্য সড়কের উপর কাটাবাগান মাঠ এলাকায় প্রায় দু’কিলোমিটার রাস্তা লুঠেরা বাহিনীর স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। দু’দিন আগেই এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে হরিহরপাড়ার সৌরভ দত্তর (নাম পরিবর্তিত)। বহরমপুর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন, সঙ্গে ছিলেন বান্ধবীও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বেলডাঙা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৪ ০১:১১
Share:

গল্প হয়ে যাওয়া ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী যেন আবার উঠে আসছে মাটি ফুঁড়ে। দূর থেকে দড়ির ফাঁস ছুড়ে বাইক আরোহীকে ধরাশায়ী করে মোটরবাইক লুঠ হচ্ছে। বহরমপুর-হরিহরপাড়া রাজ্য সড়কের উপর কাটাবাগান মাঠ এলাকায় প্রায় দু’কিলোমিটার রাস্তা লুঠেরা বাহিনীর স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে।

Advertisement

দু’দিন আগেই এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে হরিহরপাড়ার সৌরভ দত্তর (নাম পরিবর্তিত)। বহরমপুর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন, সঙ্গে ছিলেন বান্ধবীও। দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় হঠাৎ-ই একখানা দড়ি গলায় আটকাল সৌরভবাবুর। দ্রুতগতির মোটর বাইক-সহ সৌরভ ও তাঁর বান্ধবী পড়লেন রাস্তার উপর। আরোহী যুগলের হাত পা বা মাথা ভাঙল কিনা তা দেখার মতো কেউ অবশ্য সে সময় ছিলেন না আশপাশে। বরং ‘যাঁরা’ ছিলেন, ‘তাঁরা’ সোজা এসে মোটর বাইকটি নিয়ে দিলেন চম্পট। সংখ্যায় কম করেও জনা আটেক ছিনতাইবাজ।

এমন ঘটনা নতুন নয়। সৌরভবাবু ঘটনার দিন কয়েক আগে একই রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন অমিত গুঁই। হরিহরপাড়ার বাসিন্দা রবিউল হক বেঁচে গিয়েছিলেন সঙ্গে অনেক বন্ধুবান্ধব থাকায়। তিনি জানান, দিন কয়েক আগে কাটাপাড়া মাঠের কাছে দড়ি আটকে মোটর বাইক নিয়ে পড়ে যান তিনি। কিন্তু একসঙ্গে অনেকে থাকায় ছিনতাইবাজরা কাছে ঘেঁষতে সাহস পায়নি।

Advertisement

এলাকায় এ ধরণের ঘটনা বাড়তে থাকায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। বাসিন্দারা অবশ্য জানিয়েছেন, রাজ্য সড়কের উপর এ ধরণের ঘটনা আকছাড় ঘটেই থাকে। ছিনতাইবাজরা জাতীয় সড়ক ছেড়ে বেছে নেয় রাজ্য সড়কগুলিকে, যাতে নিরিবিলিতে সহজে কম শক্তিক্ষয় করেই কাজ হাসিল করা যায়। গ্রামের মাঝখান দিয়ে চলে যাওয়া যে কোনও রাজ্য সড়কের উপর একআধটা ফাঁকা মাঠ পড়েই। রাত নামলেই সে সব এলাকা হয়ে যায় জনবিরল। তখনই ছিনতাইয়ের সেরা সময়। হরিহরপাড়াও এর ব্যতিক্রম নয়। হরিহরপাড়া ও নওদার কয়েক লক্ষ মানুষের সদর শহরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র পথ এই রাজ্য সড়কই। ফলে রাতবিরেতেও এই পথ দিয়েই যাতায়াত করতে বাধ্য হন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরেই এ ধরণের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু গত কয়েকমাসে যেন তা আরও বেড়ে গিয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, “এরকম ঘটনা বহুদিন আগে ঘটত। তবে সম্প্রতি দু’একটি ঘটনার অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এ দিকে বেলডাঙা থানা সূত্রে বলা হয়েছে, ওই এলাকায় নজরদারি যাতে বাড়ানো যায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন