বাজির পেটি।—নিজস্ব চিত্র।
প্রচুর পরিমাণে শব্দবাজি আটক করল পুলিশ। রঘুনাথগঞ্জ শহরের বাজারপাড়ার এক বাড়ি থেকে বুধবার দুপুরে এই বাজি আটক করা হয়েছে। ৫৩ পেটি ওই বাজির দাম প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। গ্রেফতার করা হয়েছে বাড়ির মালিক হারাধন দত্তকে। পুলিশ জানিয়েছে, ছোটখাটো বাজি বিক্রির ব্যবসা করলেও সরকারি লাইসেন্স নেই হারাধনবাবুর। দিন চারেক আগে কলকাতা থেকে লরিতে করে বিপুল পরিমাণে শব্দবাজি এনে বাজারপাড়ার ঘুপচি গলির মধ্যে নিজের বাড়িতে মজুত করেছিলেন তিনি। খবর পেয়ে এদিন ভরদুপুরে রঘুনাথগঞ্জ থানার এএসআই সাহানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ হারাধনবাবুর বাড়ি ঘিরে তল্লাশি চালাতে শুরু করে। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাজারপাড়া এলাকায় ঘনবসতির মধ্যে হারাধনবাবুর বাড়িতে ঠাসাঠাসি করে এমন ভাবে বিপুল পরিমাণে বাজি মজুত করা ছিল, যা থেকে এই গরমে যে কোনও মুহুর্তে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটতে পারত বলে পুলিশের আশঙ্কা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, লোকসভা নির্বাচনের পর ফল ঘোষণা হবে ১৬ মে। সেই সময় জয়ী রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের কাছে চড়া দামে বিক্রির উদ্দেশ্যেই এই বাজি মজুত করা হয়েছিল বেআইনি ভাবে। হারাধনবাবুর অবশ্য দাবি, মজুত করা বাজিগুলির মধ্যে শব্দবাজি তেমন নেই। তাঁর বক্তব্য, “সামনে উৎসব নেই বলে এটা বাজির অফ সিজন। এই সময় দাম থাকে বেশ কম। চার-পাঁচ মাস পর উৎসবের মরসুম শুরু হলেই এই বাজির দাম বেড়ে যাবে। তাই এই সময়টা বাজি এনে মজুত করে রাখা হয়েছিল।”
জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রাজা বলেন, “নির্বাচনের সময় এত বাজি কী উদ্দেশ্যে মজুত করা হয়েছিল পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে। বাড়ির মালিককে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
এ দিকে, বুধবারই দুপুরে সুতি থানার গাজিপুরে কটা শেখ নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে ৪৬টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। কটা শেখকে অবশ্য ধরা যায়নি।