৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে গাড়ি থামিয়ে ডাকাতি

পুলিশের মতো খাঁকি পোশাক পড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে চাল ব্যবসায়ীদের একটি গাড়িতে লুঠপাট চালাল এক দল দুষ্কৃতী। রবিবার রাত ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুরের গোবিন্দপুর এলাকায়। বেশ কয়েক লক্ষ টাকা লুঠ হয়েছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন শান্তিপুরের কালনা ঘাট এলাকার বাসিন্দা ওই চাল ব্যবসায়ীরা। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অজয় প্রসাদ বলেন, ‘‘ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে এই ব্যবসায়ীদের ঘনিষ্ঠ কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৫৬
Share:

পুলিশের মতো খাঁকি পোশাক পড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে চাল ব্যবসায়ীদের একটি গাড়িতে লুঠপাট চালাল এক দল দুষ্কৃতী। রবিবার রাত ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুরের গোবিন্দপুর এলাকায়। বেশ কয়েক লক্ষ টাকা লুঠ হয়েছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন শান্তিপুরের কালনা ঘাট এলাকার বাসিন্দা ওই চাল ব্যবসায়ীরা। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অজয় প্রসাদ বলেন, ‘‘ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে এই ব্যবসায়ীদের ঘনিষ্ঠ কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।’’

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার কালনাঘাট এলাকার চার চালের আড়তের মালিক বহরমপুর থেকে ব্যবসার বকেয়া টাকা আদায় করে বাড়ি ফিরছিলেন। শান্তিপুরের গোবিন্দপুরের কাছে একটা ফাঁকা জায়গায় পিছন দিক থেকে একটি গাড়ি সামনে ও একটি পাশে এসে দাঁড়ায়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এর পরে গাড়ি দু’টি থেকে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল দ্রুত নেমে এসে এক ব্যবসায়ীর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে লুঠপাট চালায়। গাড়ির যাত্রী ব্যবসায়ী প্রণব মজুমদার বলেন, ‘‘ওরা প্রচণ্ড গালিগালাজ করছিল। কথা শুনে মনে হচ্ছিল যে আমাদের কাছে যে অনেক টাকা আছে তা ওরা জানত। ওদের কয়েকজনের গায়ে কিন্তু পুলিশের মতো খাঁকি পোশাক ছিল। মাফলার দিয়ে মুখ ঢাকা ছিল। প্রায় চার থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে ওরা কাজ সেরে ফেলে গাড়িতে চেপে শান্তিপুরের দিকেই পালিয়ে যায়।’’ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘গোটা ঘটনাটাই রহস্যজনক। দুষ্কৃতীরা কী ভাবে জানলেন যে এই গাড়ির যাত্রীদের কাছে মোটা টাকা আছে, আবার কেনই বা বাড়ির কাছে শান্তিপুর এলাকাতেই দুষ্কৃতীরা হামলা চালালো। শুধু তাই নয় যে সময় ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে সেই সময় জাতীয় সড়ক দিয়ে প্রচুর গাড়ি যাতায়াত করে। রাস্তার উপরে তিনটি গাড়ি পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আবার ১০-১২ জন যুবক একটি গাড়িকে ঘিরে রেখেছে, অথচ সেটা অন্য কোনও গাড়ির যাত্রীদের নজরে পড়ল না কেন, এমন নানান প্রশ্ন তদন্তে উঠে আসছে।’’ তদন্তে যাই উঠে আসুক না কেন জাতীয় সড়কের উপরে এমন ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। শান্তিপুরের বাসিন্দা কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী সঞ্জয় বসু বলেন, “৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ডাকাতির ঘটনা ঘটায় আমরা যথেষ্ট চিন্তিত। রাত আটটার সময় যদি এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে বেশি রাতে কি হবে সেটা ভাবতেই আমাদের গা শিউরে উঠছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement