রাজ্য সরকারের কিছু করার নেই: শ্রমমন্ত্রী

বিড়ি শ্রমিকরা তাঁদের প্রাপ্য পাচ্ছেন না কেন? মঙ্গলবার রঘুনাথগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু পর্যায়ক্রমে বিরোধী শ্রমিক সংগঠন, কেন্দ্রীয় সরকার এমনকী সংবাদমাধ্যমকেও কটাক্ষ করলেন। সেই সঙ্গে জানালেন, শ্রমিকদের প্রাপ্য নিশ্চিত করার বিষয়ে রাজ্য সরকারের কিছুই করার নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৪ ১৯:০৮
Share:

Advertisement

বিড়ি শ্রমিকরা তাঁদের প্রাপ্য পাচ্ছেন না কেন? মঙ্গলবার রঘুনাথগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু পর্যায়ক্রমে বিরোধী শ্রমিক সংগঠন, কেন্দ্রীয় সরকার এমনকী সংবাদমাধ্যমকেও কটাক্ষ করলেন। সেই সঙ্গে জানালেন, শ্রমিকদের প্রাপ্য নিশ্চিত করার বিষয়ে রাজ্য সরকারের কিছুই করার নেই।

শ্রমমন্ত্রীর বক্তব্য, “বিরোধী শ্রমিক সংগঠনের মদতে ভুয়ো বিড়ি শ্রমিক সেজে পরিচয়পত্র হাতিয়েছেন অনেকে। এ ব্যাপারে রাজ্যের সমস্ত অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে আমাদের আর কিছুই করার থাকছে না।”

Advertisement

বিড়ি শ্রমিক হিসেবে নাম নথিভূক্ত করাতে হলে দালালদের ঘুষ দিতে হচ্ছে, বিড়ি শ্রমিকদের এই অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। দুর্নীতির দায় সম্পূর্ণ বিরোধীদের উপর চাপিয়ে শ্রমমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রককে জানিয়েছে, ভুয়ো শ্রমিকদের ধরতে রাজ্যের সমস্ত বিড়ি শ্রমিকের পুরোনো পরিচয়পত্র বাতিল করতে হবে। রাজ্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে নতুন করে সমস্ত বিড়ি শ্রমিককে পরিচয়পত্র দিতে হবে।”

ভবিষ্যতে তামাকজাত দ্রব্যের উপর বিধিনিষেধ আরও কড়া হলে বিড়িশিল্পও বিপন্ন হবে। সে ক্ষেত্রে বিড়ি শ্রমিকদের কী ভাবে পুনর্বাসন করা যাবে, জানতে চায় সংবাদমাধ্যম। শ্রমমন্ত্রী রাজ্যের সংবাদ সংস্থাগুলিকেই বিড়ি শ্রমিকদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিতে বলেন।

বিড়ি শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরি পাচ্ছেন না কেন, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সিটু, আইএনটিইউসি সহ কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন বিড়ি মালিকদের সঙ্গে বোঝাপড়ার চুক্তি করে ন্যূনতম মজুরির সুযোগ থেকে শ্রমিকদের বঞ্চিত করছেন।”

শ্রমমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের বিড়ি শ্রমিক হাসপাতালগুলিতে চরম অব্যবস্থা চলছে। এ নিয়ে বহুবার কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু কোনও ফল হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন