গঙ্গা-আরতি: শহরের কাশীপুর এলাকার একটি ঘাটে উমা ভারতী। ছবি: সুমন বল্লভ।
পশ্চিমবঙ্গের আর্সেনিক-পীড়িত এলাকায় ওই ভয়াবহ দূষণ প্রতিরোধে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। এ বার কেন্দ্রীয় সরকারের ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে গঙ্গার দু’পাশের আর্সেনিক-কবলিত এলাকায় সেই কাজ হবে। শুক্রবার কাশীপুরে এ কথা জানান কেন্দ্রীয় জলসম্পদ এবং গঙ্গা পুনরুজ্জীবন মন্ত্রী উমা ভারতী।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, এই বিষয়ে প্রকল্প তৈরি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ভূজল পর্ষদ। আর্সেনিক পশ্চিমবঙ্গের ভয়ঙ্কর সমস্যা। বিশেষত গঙ্গা সংলগ্ন জেলাগুলিতে এর প্রকোপ বেশি। তার মোকাবিলায় কাজ করছে ভূজল পর্ষদ। তার পরে বিষয়টিকে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তটি রীতিমতো নতুন পদক্ষেপ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
অনেকেরই অভিযোগ, এ রাজ্যে গঙ্গায় সরাসরি মলমূত্র ফেলা হয়। বিশেষত গঙ্গার পাড়ে বসবাসকারীরা ওই নদীতে মলমূত্র ত্যাগ করেন। এটা গঙ্গা-দূষণের অন্যতম কারণ। এই প্রসঙ্গ তুলে উমা এ দিন জানান, সামগ্রিক ভাবে দূষণ ঠেকাতে রাজ্য সরকারকে প্রকল্প পাঠাতে হবে। গঙ্গার পাড়ে বসবাসকারীদের অধিকাংশই গরিব। নমামি গঙ্গে প্রকল্পে যে-সব বর্জ্য শোধন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে, সেখানে ওই গরিবদের কাজ দেওয়ার আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে গঙ্গার ভাঙন প্রসঙ্গ উঠেছিল। সেই বিষয়ে এ দিন উমাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘উনি (মমতা) তো নিজেও কেন্দ্রীয় সরকারে ছিলেন। উনি জানেন, এ ব্যাপারে রাজ্য ও কেন্দ্রের দায়িত্ব অর্ধেক-অর্ধেক। রাজ্যকেই এই ব্যাপারে প্রকল্প তৈরি করতে হবে।’’ বিকেলে ব্যারাকপুরের মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রে যান উমা। সেখানেও ভাঙনের প্রসঙ্গ ওঠে। উমা আশ্বাস দেন, ভাঙন রোধে রাজ্য সরকার যে-ব্যবস্থা নিতে চাইবে, তাতে সাহায্য করবে কেন্দ্র।
এ দিন রাজ্যের বিরুদ্ধে কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করেননি উমা। বরং জানান, তিনি নমামি গঙ্গে প্রকল্পে রাজ্যের সাহায্য পাচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘‘দু’তরফের আধিকারিকেরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।’’