West Bengal News

তারাপীঠে রথের সূচনায় প্রধানমন্ত্রী, ব্রিগেডের আগে রাজ্যে ১০টি জনসভা মোদী-শাহের

৭ এবং ৯ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করছে কোচবিহার এবং সাগরের রথ। ১৪ ডিসেম্বর বীরভূমের তারাপীঠ থেকে শুরু হবে তৃতীয় রথের যাত্রা। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি কর্মসূচিতে সেই দিনেই বাংলায় আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:৪৮
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

বড়সড় চমক থাকতে পারে রথযাত্রার সূচনায়। অমিত শাহ নন, তৃতীয় রথের সূচনা হতে পারে খোদ নরেন্দ্র মোদীর হাতে। খবর বিজেপি সূত্রের। রথযাত্রা চলাকালীন বাংলায় অন্তত ৮ দিন সময় দিতে চান অমিত শাহও। দিল্লি থেকে এমনই বার্তা কলকাতার মুরলীধর সেন লেনে এসে পৌঁছেছে বলে জানা গিয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে প্রস্তাবিত ব্রিগেড সমাবেশের আগে কোথায় কোথায় নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের জনসভার আয়োজন করা যেতে পারে, তা নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন দলের রাজ্য নেতৃত্ব।

Advertisement

৭ এবং ৯ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করছে কোচবিহার এবং সাগরের রথ। ১৪ ডিসেম্বর বীরভূমের তারাপীঠ থেকে শুরু হবে তৃতীয় রথের যাত্রা। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি কর্মসূচিতে সেই দিনেই বাংলায় আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর। যদি কর্মসূচিটির তারিখ ১৪ ডিসেম্বরই নির্ধারিত হয়, তা হলে তারাপীঠে গিয়ে রাঢ়বঙ্গের রথযাত্রার সূচনা মোদীই করবেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর।

শুধু ১৪ ডিসেম্বরের উপস্থিতিতে অবশ্য মোদীর কর্মসূচি সীমাবদ্ধ থাকছে না। বিজেপি সূত্রের খবর, তারাপীঠের সভা এবং ফেব্রুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশের মাঝে আরও অন্তত চারটি সভা বাংলায় করবেন নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছ থেকেই তেমন বার্তা এসেছে। কোন কোন এলাকায় নরেন্দ্র মোদীর সভার আয়োজন হতে পারে, সে সম্পর্কে রাজ্য বিজেপির কাছ থেকে প্রস্তাব চেয়ে পাঠানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গে মালদহ, রাঢ়বঙ্গে বীরভূম ও বাঁকুড়া বা দুর্গাপুরের মধ্যে কোনও একটি জায়গায় এবং দক্ষিণবঙ্গে বারাসতে ও কৃষ্ণনগরে নরেন্দ্র মোদীর সভা হতে পারে বলে খবর। তবে তারিখ এবং সভাস্থল এখনও চূড়ান্ত নয় বলে বিজেপি নেতারা জানাচ্ছেন। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর কথায়, ‘‘কোন কোন তারিখে মোদীজি এখানে সময় দিতে পারছেন এবং সেই সব তারিখে কোন রথ কোথায় থাকছে— তার উপরেই নির্ভর করছে সভাস্থল এবং সভার তারিখ চূড়ান্ত হওয়ার বিষয়টি।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: মর্যাদার লড়াই মহাকোশল জুড়ে, ‘পদ্মবনে’ বসে দুশ্চিন্তায় ছিন্দওয়াড়ার অধীশ্বর

বিজেপি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, তারাপীঠ থেকে যাত্রার সূচনা যদি মোদী নিজে করেন, তা হলে অমিত শাহ সেখানে না-ও থাকতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অমিত শাহ কোচবিহার এবং সাগর থেকে যাত্রার সূচনা করবেন। তার পরে রথযাত্রা চলাকালীন আরও অন্তত ৬টি জায়গায় জনসভা করবেন। অমিত শাহের দফতর থেকেই এমন ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়েছে বলে খবর।

কোথায় কোথায় হতে পারে অমিত শাহের জনসভা? এ বিষয়েও বিজেপি নেতারা এখনই মুখ খুলতে নারাজ। তবে ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেন সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি, আসানসোল, মেদিনীপুর—এই তিনটি শহরে অমিত শাহের সভা আয়োজন করা যেতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে কথাবার্তা হয়েছে। আরও তিনটি সভাস্থলের নাম নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।

আরও পড়ুন: রাজনীতি আসলে হাজার সম্ভাবনার মিশেল, বোঝাচ্ছে তেলঙ্গানা

সোমবার রাতে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকেরা বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানেই অমিত শাহের সভাস্থলগুলি নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যে তিনটি শহরের বিষয়ে রাজ্য বিজেপি একমত হতে পেরেছে, সেগুলির নাম এবং সভার সম্ভাব্য তারিখ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। আরও তিনটি সভাস্থলের নাম এবং সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে কথা হওয়া বাকি। তবে দলের রাজ্য নেতারা জানাচ্ছেন, রাজ্যের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে যা কিছু পাঠানো হচ্ছে, সে সবই প্রস্তাব মাত্র। সভাস্থল এবং সভার তারিখে চূড়ান্ত সিলমোহর দিল্লিই দেবে।

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন