দিন শেষ ছোটর, লাইনে বড় রেল

বছর তিনেক আগে ন্যারোগেজ থেকে ব্রডগেজে রূপান্তরের জন্য থেমে গিয়েছিল আমোদপুর-কাটোয়া ছোটরেলের পরিচিত কুঁ-ঝিকঝিক শব্দ। মঙ্গলবার ফের শোনা গেল সেই শব্দ। তবে বড় রেলের। এ দিন আমোদপুর থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ভাবে চালানো হয় বড় লাইনের একটি ইঞ্জিন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ময়ূরেশ্বর শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০১:২৫
Share:

বছর তিনেক আগে ন্যারোগেজ থেকে ব্রডগেজে রূপান্তরের জন্য থেমে গিয়েছিল আমোদপুর-কাটোয়া ছোটরেলের পরিচিত কুঁ-ঝিকঝিক শব্দ। মঙ্গলবার ফের শোনা গেল সেই শব্দ। তবে বড় রেলের। এ দিন আমোদপুর থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ভাবে চালানো হয় বড় লাইনের একটি ইঞ্জিন।

Advertisement

১৯১৭ সালে ৫৩ কিলোমিটার ওই রেলপথের সূচনা হয়। কারও বাঁশবাগান, কারও বাড়ির উঠোন দিয়ে সেই রেলপথে দু’টি ট্রেন বার চারেক মন্থর গতিতে সাপের মতো এঁকেবেঁকে আসা-যাওয়া করত। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যারের বিভিন্ন রচনায় ঘুরে ফিরে এসেছে ওই ছোটরেলের কথা। ন্যারোগেজকে ব্রডগেজে রূপান্তরের দাবিতে এলাকার মানুষও দীর্ঘ দিন ধরে সরব হয়েছিলেন। তাঁদের দাবি মেনে ২০১৩ সালে ওই লাইনকে ব্রডগেজে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেয় রেল দফতর। সেই অনুযায়ী ওই বছরেরই ১৪ জানুয়ারি ৯৭ বছরের যাত্রা শেষে এলাকার মানুষকে শেষ বারের মতো বিদায় জানাতে এসেছিল ছোটলাইনের ট্রেন। স্টেশন কিংবা হল্টগুলিতে সে দিন প্রতীক্ষায় ছিলেন বহু মানুষ। ব্রডগেজের দাবিপূরণ হলেও সে দিন অনেকেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। অধিকাংশই নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েছিলেন। প্রিয়জনকে শেষ বিদায় জানানোর মতোই ছোটলাইনের ট্রেনে পরম মমতায় বুলিয়ে দিয়েছিলেন হাত।

এ দিনও আবেগে ভেসে যান অনেকে। স্থানীয় বাসিন্দা কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায়, অশোক পাল, সুপ্রিয় চট্টোপাধ্যায়রা বলেন, ‘‘বড় লাইনের ট্রেন চালু হলে আমাদের সুবিধা হবে ঠিকই। কিন্তু ছোট লাইনের ট্রেনকে কোনও দিন ভুলতে পারব না। কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে ওই ট্রেনে।’’ এ দিন ইঞ্জিনটি চালিয়ে এনেছিলেন এস কে তালুকদার। তিনি জানান, নতুন রেল পথের কোথাও কোনও ত্রুটি আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতেই পরীক্ষামূলক ভাবে ইঞ্জিনটি চালানো হল। ওই রেলের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মুকেশকুমার দাস জানান, ওই লাইনে বুধবার পরীক্ষামূলক ভাবে একটি মালগাড়িও চালানোরও পরিকল্পনা রয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন