NH10 in North Bengal closed

আবার বন্ধ বাংলা-সিকিমের ‘লাইফলাইন’ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক! ভোগান্তি পর্যটকদের, বিকল্প রাস্তা বলে দিল প্রশাসন

সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মেরামতির কারণে বন্ধ রাখা হবে যান চলাচল। ওই সড়ক দিয়ে সমস্ত রকম যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:২৫
Share:

কালিম্পঙে জাতীয় সড়কের একাংশ ধসে গিয়েছে। ছবি: পিটিআই।

আবার বন্ধ হয়ে গেল বাংলা-সিকিমের ‘লাইফলাইন’ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মেরামতির কারণে বন্ধ রাখা হবে যান চলাচল। ওই সড়ক দিয়ে সমস্ত রকম যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

টানা বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। ধসে ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক রাস্তা। তার মধ্যে রয়েছে শিলিগুড়ি-সিকিমের সংযোগকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কও। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ২৯ মাইল থেকে গেলখোলা পর্যন্ত জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় রাস্তা ধসে গিয়েছে। সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই দুর্ভোগে পড়বেন পর্যটকেরা। যদিও ঘুরপথে যাতায়াতের ব্যবস্থা করছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন। আলগাড়া, গরুবাথান দিয়ে যাতায়াত করবে সিকিমগামী সমস্ত গাড়ি। পাশাপাশি দার্জিলিং থেকে কালিম্পংয়ের রাস্তাও খোলা রয়েছে।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গেলখোলা এলাকায় ‘সিঙ্কহোল’ তৈরি হয়ে সড়কের নীচের স্তর ভেঙে গিয়েছে। ধস নামে ২৯ মাইলেও। ‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘২৯ মাইল থেকে গেলখোলার মধ্যে অন্তত পাঁচ জায়গায় বড় ধস রয়েছে। দ্রুত ওই ধস মেরামতির জন্য সংগঠনের তরফে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়। অবিলম্বে রাস্তা মেরামত না করা হলে আন্দোলন হবে বলেও জানানো হয়েছে।’’

Advertisement

পর্যটন ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পূর্বঘোষণা বা বিকল্প পরিকল্পনা ছাড়াই এমন সিদ্ধান্তে হাজার হাজার পর্যটক ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হবে। শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক পৌঁছোতে যেখানে মাত্র সাড়ে চার ঘণ্টা লাগে, সেখানে এখন বাগরাকোট-লাভা-আলগাড়া বা গরুবাথান হয়ে একই দূরত্ব পেরোতে সময় লাগবে ছ’ঘণ্টার বেশি। তিস্তা বাজার, পেশক রোড বা কালীঝোরা ঘুরপথ হলেও সে পথে ভারী যানবাহনের চলাফেরা কার্যত অসম্ভব। স্থায়ী সমাধান ছাড়া এ ভাবে বার বার সড়ক বন্ধ রাখলে পাহাড়ি অর্থনীতিই ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কিত পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement