মালদহের কালিয়াচকে গত বছর হিংসা ছড়ানোর কুশীলব ও জাল নোট চক্রের সেতুবন্ধন কোথায়, তার হদিস আসাদুল্লা বিশ্বাসের কাছ থেকে পাওয়ার আশায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। কালিয়াচকের মোজমপুরের প্রাক্তন তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সদস্য আসাদুল্লার বিরুদ্ধে এনআইএ বৃহস্পতিবার মামলা রুজু করেছে। আসাদুল্লা এখন জেলে। তাকে হেফাজতে নিতে এনআইএ আদালতে আবেদন জানাবে।
কালিয়াচক থানায় গত বছর অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জাল নোটের কারবারিদের ভূমিকা ছিল বলে গোড়া থেকেই বলছিলেন গোয়েন্দারা। তাঁদের যুক্তি ছিল, ওই থানায় জাল নোটের কারবার সংক্রান্ত বহু নথি গচ্ছিত ছিল। আগুন যারা দিয়েছিল, তাদের একাংশের উদ্দেশ্য ছিল সেই সব নথি নষ্ট করা। সেই সময়ে প্রাথমিক ভাবে কিছু সূত্রও এনআইএ-র হাতে এসেছিল।
গোয়েন্দারা মনে করছেন, আসাদুল্লার কাছ থেকে জাল নোট চক্র ও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সম্পর্কের ব্যাপারেও কিছু সূত্র মিলতে পারে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে আসাদুল্লাকে মালদহ জেলা পুলিশ গ্রেফতার করে। ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মোজমপুরে তার বাড়ির আলমারিতে রাখা ৫০০ টাকার ২৯০টি জাল নোট উদ্ধার করা হয়। পরে আসাদুল্লাকে হেফাজতে নেয় সিআইডি। তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ-তে মামলা রুজু করা হয়।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া থেকে আট কিলোমিটার দূরে আসাদুল্লার বাড়ি। বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা থেকে চক্রের কয়েক জন পান্ডা জাল নোট দিয়ে যেত আসাদুল্লাকে। মালদহে আবার আসাদুল্লার বিঘের পর বিঘে জমিতে বেআইনি ভাবে পোস্ত তথা আফিম চাষও হতো। সেই সঙ্গে সে দু’টি বড় নার্সিংহোমের মালিক। ওই সব ব্যবসায় সে জাল নোট চালাত। ফলে, তার রোজগার হত দ্বিগুণ — খবর গোয়েন্দা সূত্রে।
এনআইএ-র এক শীর্ষকর্তা ফোনে বলেন, ‘‘আসাদুল্লা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দিল্লিতে এনআইএ-র সদর দফতরে মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে এর তদন্ত করবেন কলকাতা শাখার গোয়েন্দারা।’’