Nawsad Siddique

নওশাদদের সভা নেতাজি ইন্ডোরে, রাজ্যের সিদ্ধান্তে প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধান বিচারপতি, কী বললেন?

শুক্রবার সকাল থেকেই নওশাদদের ধর্মতলার সভা নিয়ে একের পর এক মামলা চলছিল কলকাতা হাই কোর্টে। ২১ জানুয়ারি ওই সভার জন্য ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনের জায়গাটি চেয়েছিল আইএসএফ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:২৮
Share:

নওশাদ সিদ্দিকি। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভাস্থলের বদলে নওশাদ সিদ্দিকিরা সভা করার অনুমতি পেলেন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে! শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে নওশাদদের আর্জি খারিজ হওয়ার পর রাজ্য প্রশাসনের তরফে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে । যা শুনে আইএসএফকে নেতাজি ইন্ডোরে সভা করার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিও। তিনি বলেন, ‘‘দারুণ জায়গা, আমি নিজে ওখানে গিয়েছে। ওখানেই সভাটা করুন।’’

Advertisement

শুক্রবার সকাল থেকেই নওশাদদের ধর্মতলার সভা নিয়ে একের পর এক মামলা চলছিল কলকাতা হাই কোর্টে। ২১ জানুয়ারি ওই সভার জন্য ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনের জায়গাটি চেয়েছিল আইএসএফ। যেখানে প্রতি বছর ২১ জুলাই তৃণমূল শহিদ দিবস পালন করে। সিঙ্গল বেঞ্চ আইএসএফের সেই আবেদনে শর্ত সাপেক্ষে সায় দিলেও। পরে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘গত বছর এই সভা ঘিরেই ধর্মতলায় অশান্তি হয়েছিল। সেই ঘটনার জেরে আপনার মক্কেল এখনও অভিযুক্ত। জামিনে রয়েছেন। তাই এ বছরের সভাতেও কোনও অশান্তি হবে না, তা আদালত বিশ্বাস করে না।’’ ওই একই দিনে শহরে ম্যারাথন রয়েছে। আদালত মন্তব্য করে, ‘‘ওই রাজনৈতিক সভার থেকে ম্যারাথন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা বরং রাজ্যের অনুমতি সাপেক্ষে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র বা নেতাজি ইন্ডোরে সভা করুন।’’ প্রধান বিচারপতির এই নির্দেশের পরই রাজ্যের তরফে আদালতে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা আইএসএফকে নেতাজি ইন্ডোরে সভা করার অনুমতি দিচ্ছে। এ কথা শুনেই বিচারপতি সভাস্থলের প্রশংসা শুরু করেন।

Advertisement

আইএসএফের আইনজীবীকে প্রধান বিচারপতি: নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামেই কর্মসূচি করুন। খুব সুন্দর জায়গা। আমিও সেখানে দুটো অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলাম। খুবই মনোরম। বসার আসনগুলি দারুণ। অডিয়ো সিস্টেম তো খুবই ভাল।

আইএসএফের আইনজীবী: বলতে বাধ্য হচ্ছি ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই কর্মসূচি করতে দেওয়া হয়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নওশাদ সিদ্দিকি প্রতিনিধিত্ব করবেন বলেই নওশাদের কর্মসূচি বন্ধ করতে এত প্রচেষ্টা করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি: সব ঠিক আছে এ বছর নেতাজি ইন্ডোরেই প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করুন। পরের বছর দেখব।

তবে এ সবের পাশাপাশি বিচারপতি এ-ও জানিয়েছেন যে, এর পর জনস্বার্থ মামলায় সব কর্মসূচি তিনি বন্ধ করে দেবেন। আইএসএফের আইনজীবীকে তিনি বলেন, ‘‘কর্মসূচি বন্ধ হওয়া নিশ্চিত করতে আপনাকে আদালত বান্ধব নিয়োগ করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন