Education

ফল অমিল, সঙ্কটে ৭০ পরীক্ষার্থী

করোনার জন্য এ বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনের সিমেস্টার পরীক্ষা হয়নি। মার্চে কিছু ক্লাস হয়েছিল। পঠনপাঠন আর এগোয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২০ ০৬:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

অতিমারির আবহে অন্যদের মতো ঘরে বসে ষষ্ঠ বা চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু শেঠ আনন্দরাম জয়পুরিয়া কলেজের অন্তত ৭০ জন বি-কম পড়ুয়া এখনও ফল জানতে পারেননি। অকূলপাথারে পড়েছেন তাঁরা। কারণ, ফল জানা দূরের কথা, তাঁদের ওই পরীক্ষা গ্রাহ্য না-হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চতুর্থ সিমেস্টারের বকেয়া পরীক্ষা সামনে। সেই পরীক্ষা দেওয়ার পরে নতুন নিয়মে তাঁদের ফের চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষায় বসতে হবে।

Advertisement

করোনার জন্য এ বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনের সিমেস্টার পরীক্ষা হয়নি। মার্চে কিছু ক্লাস হয়েছিল। পঠনপাঠন আর এগোয়নি। অক্টোবরে চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষা নিয়ে সেই মাসেই ফল প্রকাশ করা হয়। অন্তর্বর্তী সিমেস্টারের বকেয়া পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় নোটিস সম্প্রতি দিয়েছে। জয়পুরিয়া কলেজ সূত্রের খবর, ওই পড়ুয়ারা ‘ইভেন সিমেস্টার’ অর্থাৎ দ্বিতীয় বা চতুর্থ সিমেস্টারে নন-কলেজিয়েট হন অর্থাৎ ন্যূনতম ক্লাসে হাজির থাকেননি অথবা পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করেননি।

পড়ুয়াদের অভিযোগ, কলেজ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, সব পড়ুয়াই অক্টোবরে ষষ্ঠ সিমেস্টারের পরীক্ষা দিতে পারবেন। তাঁরা ঘরে বসে পরীক্ষা দেন। কিন্তু ফল জানতে না-পেরে বার বার কলেজের দ্বারস্থ হচ্ছেন। ওই ছাত্রদের মধ্যে অনেকের বক্তব্য, তাঁরা ইভেন সিমেস্টারে মোটেই নন-কলেজিয়েট ছিলেন না অথবা আদৌ এই তথ্য জানতেন না।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা জানান, সিবিসিএসের নিয়ম অনুযায়ী এই ধরনের পড়ুয়াদের আগে চতুর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষায় বসতে হবে। তার পরে তাঁরা চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষা দিতে পারবেন। এই অবস্থায় ওই সব পড়ুয়া সাম্প্রতিক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী চতুর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষায় বসলেও আগে ষষ্ঠ সিমেস্টারের যে-পরীক্ষা দিয়েছেন, তা গ্রাহ্য হবে না। তাঁদের আবার নতুন করে ষষ্ঠ সিমেস্টারের পরীক্ষা দেওয়াই নিয়ম।

চূড়ান্ত ধন্দে পড়েছেন পড়ুয়ারা। জয়পুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায় স্বীকার করেন, বিষয়টি তাঁর কাছেও খুব পরিষ্কার নয়। কলেজের অন্য এক শিক্ষক বিষয়টি দেখছেন। তবে অধ্যক্ষ চাইছেন, বিষয়টির দ্রুত সমাধান হোক। ‘‘আমি ওই পড়ুয়াদের বলেছি, তারা যেন তাদের আবেদন আমাকে দেয়। আমি বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের (শিক্ষা) কাছে যাব। এর সঙ্গে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ জড়িত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন