Mamata Banerjee

‘যত দ্রুত সম্ভব রাজ্যের প্রত্যেকের বিনামূল্যে প্রতিষেধক পাওয়া উচিত’

বিনামূল্যে করোনার প্রতিষেধক দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের বক্তব্যের সমালোচনা করেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:২৪
Share:

—ফাইল চিত্র

রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রতিষেধক পাঠানোর ব্যবস্থা করুক কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার প্রতিষেধক দান কর্মসূচির সূচনায় কেন্দ্রের উদ্দেশে এই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, শুধু স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যই নয়, রাজ্যের প্রত্যেক মানুষের জন্য যত দ্রুত সম্ভব প্রতিষেধক নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত সংখ্যায় তা পাঠানোর ব্যবস্থা করা উচিত কেন্দ্রের। এ দিনও প্রত্যেকের জন্য বিনামূল্যে প্রতিষেধকের পক্ষে সওয়াল করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শুধুমাত্র প্রথম সারিতে থাকা কোভিড যোদ্ধাদের জন্যই নয়, বরং রাজ্যের প্রতিটি মানুষের জন্য পর্যাপ্ত প্রতিষেধক দিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে ইতিমধ্যেই অনুরোধ করেছি।” মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, যত দ্রুত সম্ভব রাজ্যের প্রতিটি মানুষের বিনা মূল্যে প্রতিষেধক পাওয়া উচিত। দরকার হলে রাজ্য সরকার আর্থিক দায়ভার বহনও করতে পারে।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন, ‘‘রাজ্য সরকার কি কেন্দ্রের কাছে আদৌ প্রতিষেধক প্রাপকদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা পাঠিয়েছে? আর সেই তালিকায় কি ওঁর দলের বিধায়কদের নাম আছে? নাম না থাকলেও তাঁরা যদি প্রতিষেধক নিয়ে ফেলেন, তা হলে তো কম পড়বেই।’’ আবার বিনামূল্যে করোনার প্রতিষেধক দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের বক্তব্যের সমালোচনা করেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। মুর্শিদাবাদে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্র সবক’টি রাজ্যকে বিনামূল্যে ওই প্রতিষেধক দিচ্ছে। রাজ্য সরকার এ নিয়ে ‘মিথ্যাচার’ করছে। রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী অবশ্য বলেন, ‘‘পর্যাপ্ত প্রতিষেধক পাঠানো কেন্দ্রের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী চাইলে এ নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। আমরাও সে ক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে লড়ব।’’ তবে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘ভ্যাকসিন নিয়ে জাতীয়তাবাদী রাজনীতি শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীই পিছিয়ে থাকবেন কেন? তাই তিনি এ ধরনের অভিযোগ করছেন।’’

Advertisement

আরও খবর: বউবাজারে বৃদ্ধ খুন, মাথায় বাড়ি প্রেসার কুকারের, গলায় ধারালো ছুরির কোপ

আরও খবর: পলাতক অভিযুক্তদের তালিকা চাইল নির্বাচন কমিশন

এ দিকে, রাজ্যের দাবি, শনিবার ২০৭টি কেন্দ্রে ২০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে কোভিডের প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক এই পর্যায়ে চিকিৎসক, নার্স, সহায়ক চিকিৎসাকর্মী, পড়ুয়া চিকিৎসক, অঙ্গনওয়াড়ি, আশাকর্মীদের রাখা হয়েছে। এ দিন প্রত্যেকের উদ্দেশে ফোন বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, চিকিৎসাকর্মীরা যে ভাবে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সেবা কাজ করেছেন, তাতে তিনি কৃতজ্ঞ। বহু মানুষ এই বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। অনেকেই তাঁদের প্রিয়জনকেও হারিয়েছেন। তবুও স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশকর্মী এবং অন্যান্যরা সামনের সারিতে থেকে নিজের জীবন বাজি রেখে মানবতার এই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন