বেলদা হাসপাতালে বিশ্বরঞ্জন শতপথী। — নিজস্ব চিত্র
প্রচারে এসে বলে গিয়েছিলেন, এই কেন্দ্রে জিতলে ভোটের পরে প্রথম সভা নারায়ণগড়েই করবেন। নারায়ণগড়ে তৃণমূলেরই জয় হয়েছে। ঘাসফুলের প্রার্থী প্রদ্যোত ঘোষের কাছে হার মেনেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। ফলে, চলতি মাসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নারায়ণগড়ে আসার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শুধু সভা নয় নারায়ণগড়বাসীকে কিছু উপহারও দিতে চান মমতা। সেই মতো স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেই হয়তো কিছু করা হবে। কী করা যায় তা দেখতেই নারায়ণগড় ঘুরে গেলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী। বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকের আগে-পরে হাসপাতাল চত্বর পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে খবর, বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নতি হবে। এখানে স্টেট জেনারেল হাসপাতাল কিংবা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল হতে পারে। এ দিন বৈঠক শেষে জেলার এক স্বাস্থ্য কর্তা বলেন, “মনে হচ্ছে, বেলদায় বড় কোনও প্রকল্পই হবে।’’ আর নারায়ণগড়ের নবনির্বাচিত বিধায়ক প্রদ্যোতবাবু বলেন, “নারায়ণগড়ের জন্য দিদি অনেক কিছুই করবেন।’’
পশ্চিম মেদিনীপুরের এই এলাকা ছিল রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সূর্যবাবুর ‘খাসতালুক’। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সফরে নারায়ণগড়ের স্বাস্থ্য ফেরানোর চমক থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বেলদার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি এখন গ্রামীণ হাসপাতালে উন্নীত হয়েছে। শয্যা সংখ্যা ৬০। স্টেট জেনারেল হাসপাতাল হলে শয্যা সংখ্যা বেড়ে হতে পারে ১২০-১৫০। আর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল হলে শয্যা সংখ্যা হতে পারে ৩০০। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে জেলা থেকে রাজ্যে যে প্রস্তাব গিয়েছে তাতে বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালকে স্টেট জেনারেল হাসপাতালে উন্নীত করার কথাই বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৪ জুন ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে ১৩ জুন বেলদায় প্রশাসনিক সভা করতে পারেন মমতা। একেবারে চূড়ান্ত না হলেও ওই দিন সভা হবে ধরে নিয়ে প্রস্তুতি এগোচ্ছে জেলা প্রশাসন।
নারায়ণগড়ে এসে মুখ্যমন্ত্রী এ বার ‘কল্পতরু’ হতে পারেন। বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস হতে পারে। কী কী প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস হবে, জেলায় এখন তার তালিকা তৈরির কাজ চলছে। জেলা প্রশাসনের এক সূত্র জানাচ্ছে, এর আগে জেলায় এসে ৬টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কথা ঘোষণা করে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শিলান্যাসও হয়। এরমধ্যে ৪টি হাসপাতালের উদ্বোধন ইতিমধ্যে হয়েছে। বাকি দু’টি অর্থাৎ শালবনি এবং ডেবরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের উদ্বোধন ওই দিন হতে পারে।