টিএমসিপি নেতৃত্ব নিয়ে ঘোষণা ঝুলে

আবারও একটি কমিটি গড়া হল। এবং ফের ঝুলে রইল তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা। বাড়তির মধ্যে এতদিনের সভানেত্রী জয়া দত্তকে শেষ পর্যন্ত কাগজে-কলমে সরানো হল। তবে তাঁকে জায়গা দেওয়া হল নতুন সভাপতি বাছাই-কমিটির আহ্বায়ক পদে। সাত দিনের মধ্যে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে রাজ্য ও জেলা কমিটির অন্যান্য পদাধিকারীকেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৪৮
Share:

আবারও একটি কমিটি গড়া হল। এবং ফের ঝুলে রইল তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা। বাড়তির মধ্যে এতদিনের সভানেত্রী জয়া দত্তকে শেষ পর্যন্ত কাগজে-কলমে সরানো হল। তবে তাঁকে জায়গা দেওয়া হল নতুন সভাপতি বাছাই-কমিটির আহ্বায়ক পদে। সাত দিনের মধ্যে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে রাজ্য ও জেলা কমিটির অন্যান্য পদাধিকারীকেও।

Advertisement

শনিবার তৃণমূল ভবনে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপির নতুন সভাপতি বাছাই নিয়ে রাজ্যের সব কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে তৃণমূল ভবনে বৈঠক করেন তৃণমূলের মহাসচিব ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সংগঠনের নতুন সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে কোনও ইঙ্গিত বৈঠকে দেওয়া হয়নি। তবে তাঁর নেতৃত্বে ছ’জনের একটি উপদেষ্টা কমিটি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করবে বলে পার্থবাবু জানিয়েছেন।

নতুন সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে তৃণমূলে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। সেই সভাপতি বাছাইয়ে আপাতত কোনও নির্বাচন যে হচ্ছে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন পার্থবাবু। কেন নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি বাছাই হবে না, তা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে পার্থবাবু বলেন, ‘‘বিষয়টি দলের সাংগঠনিক ব্যাপার। এ নিয়ে বাইরে কিছু বলব না।’’ যদিও তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার বক্তব্য, পরে দলের রাজ্য সম্মেলন হলে নির্বাচনের মাধ্যমেই সভাপতি বাছাই হবে। কিন্তু কবে সেই রাজ্য সম্মেলন হবে, তার কোনও হদিস তৃণমূল নেতারা দিতে পারেননি। যদিও অতীতে কখনওই ছাত্র সংগঠনের সভাপতি নির্বাচনের মাধ্যমে দায়িত্ব পাননি।

Advertisement

কলেজে ভর্তি-কেলেঙ্কারি কেন্দ্র করে গত ৪ জুলাই টিএমসিপি-র সভানেত্রীর পদ থেকে জয়াকে সরিয়ে দেওয়ার দিনই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ১০ দিনের মধ্যে নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে। কিন্তু তার পর থেকে তা পিছোতে পিছোতে এখন আরও কিছু দিনের জন্য ঝুলে রইল। নির্দিষ্ট কোনও সময়সূচি জানা গেল না।

বিভিন্ন জেলা কমিটিতে অ-ছাত্র এবং মধ্যবয়স্ক অনেক পদাধিকারী রয়েছেন। তাঁদের বদলে এ বার নতুন মুখ আনা হবে বলে পার্থবাবু জানিয়েছেন। তবে অ-ছাত্রদের দলের ছাত্র সংগঠনে না রাখার কথা মহাসচিব বললেও, তা যে আদতে হচ্ছে না, তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। পার্থবাবু বলেন, ‘‘ছাত্র নন, এমন কোনও বহিরাগত কলেজের ছাত্র রাজনীতিতে থাকতে পারবেন না। এটা স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে। তবে সব পুরনোদের সরিয়ে দিলে সংগঠনের কাজ করা মুশকিল। পুরনোদের অভিজ্ঞতা তো সংগঠনের কাজে প্রয়োজন।’’ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের এই ‘ছাড়পত্র’ থাকলে কলেজে কলেজে টিএমসিপিতে বছরের পর বছর ‘বেশি বয়সের’ ছাত্ররা থেকেই যাবেন? পার্থবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমরা ছাত্রদের হাতেই ছাত্র সংগঠন রাখতে চাইছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন