প্রতীকী ছবি।
ভাঙড়ের সমস্যা মিটতেই আশার আলো দেখছেন বাসন্তী, গোসাবা এলাকার বাসিন্দারা। প্রশাসন সূত্রের খবর, বাসন্তী, গোসাবা এলাকায় লো-ভোল্টেজের সমস্যা রয়েছে। তা কাটানোর জন্য নতুন হাইটেনশন লাইন চালু করার দরকার ছিল। কিন্তু ভাঙড়ে টাওয়ার বসানোর কাজে জটিলতা হওয়ায় সেই কাজও থেমে গিয়েছিল। ভাঙড়ে সমস্যা মিটে যাওয়ায় চলতি মাস থেকেই সুভাষগ্রাম থেকে সোনাখালি পর্যন্ত ১৩২ কেভি-র নতুন হাইটেনশন লাইন চালু হবে।
বাসন্তী, গোসাবা, সোনাখালির বাসিন্দারা বলছেন, টিমটিমে আলো, প্রচন্ড গরমেও ফ্যান জোরে ঘোরে না, পাম্প চালালে জল ওঠে না, অতিরিক্ত চাহিদার চাপ সহ্য করতে না পেরে মাঝেমধ্যেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এমন নাকাল অবস্থা নিয়ে বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সুরাহা হয়নি। গত কয়েক বছরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে এলে তাঁকেও নানা মহল থেকে এ নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। প্রশাসনের এক কর্তা জানান, হাইটেনশন লাইন বসানোর জন্য উঁচু টাওয়ার প্রয়োজন। কিন্তু জমি সংক্রান্ত সমস্যার জন্য তা একাধিক বার আটকে গিয়েছে।
প্রশাসনের আরেক কর্তা বলেন, ‘‘আমাদের ইচ্ছে থাকলেও ভাঙড়ের সমস্যার জন্য কাজ করা যাচ্ছিল না। শেষমেশ ৬ অগস্ট দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের উপস্থিতিতে সুভাষগ্রামের সঙ্গে সোনাখালি সাবস্টশনের লাইন যুক্ত হয়েছে। এ বার দ্রুত ওই সমস্যা কাটবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।’’
রাজ্য বিদ্যুৎ সংবহন সংস্থার এক কর্তা জানিয়েছেন, সুভাষগ্রাম থেকে সোনাখালির দূরত্ব প্রায় ৪১ কিলোমিটার। প্রায় ৪০ কোটি টাকা খরচ করে ৪১ কিলোমিটার এই লাইনটির জন্য ১৬৬টি নতুন টাওয়ার বসানো হয়েছে। সোনাখালিতে গড়ে তোলা হয়েছে নতুন সাবস্টেশন। আর ক’দিন পর থেকে বাণিজ্যিক ভাবে বিদ্যুৎ পাঠানো শুরু হবে। তার ফলেই লো-ভোল্টেজের সমস্যা মিটবে।