Madhyamgram Murder

ট্রলি-কাণ্ড: সুমিতাকে খুনের পর তাঁর গয়নাও বিক্রি করেছিলেন ধৃত ফাল্গুনীরা! পুনর্নির্মাণে নয়া তথ্য

পুলিশ সূত্রে খবর, মা আরতি এবং মেয়ে ফাল্গুনী দু’জনে মিলে সুমিতাকে খুন করার পর তাঁর শরীর থেকে সোনার গয়না খুলে সেগুলি বিক্রিও করেছিলেন তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৫ ১২:৪৯
Share:

—ফাইল ছবি।

পিসিশাশুড়িকে খুনের পরেও লোভ সামলাতে পারেননি আরতি ঘোষ এবং ফাল্গুনী ঘোষ। পুলিশ সূত্রে খবর, মা আরতি এবং মেয়ে ফাল্গুনী দু’জনে মিলে সুমিতাকে খুন করার পর তাঁর শরীর থেকে সোনার গয়না খুলে সেগুলি বিক্রিও করেছিলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় সে কথা জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, পুনর্নিমাণের পর আহিরীটোলা থেকে বৌবাজারের একটি সোনার দোকানে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেই দোকানেই সুমিতার গলার হার, কানের দুল, নাকছাবি ও বালা বিক্রি করেছিলেন ফাল্গুনীরা। মোট ৪২ হাজার টাকার গয়না বিক্রি করা হয়েছিল ওই দোকানে। শুধু তা-ই নয়, অন্য একটি দোকানে গিয়ে দু’লাখ ৫৩ হাজার টাকার নতুন গয়নার বরাতও দিয়েছিলেন আরতি এবং ফাল্গুনী। ওই দোকানে যে ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়েছিলেন তাঁরা, সেই টাকাও সুমিতার মোবাইল থেকে অনলাইনে দেওয়া হয়েছিল বলেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

বারাসত পুলিশ জেলার সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খরিয়া বলেন, ‘‘সোনার দোকানের ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা হবে, কত পরিমাণ এবং কী কী গয়না বিক্রি করা হয়েছিল।’’ সুপার আরও বলেন, ‘‘সুমিতা ঘোষকে খুন হওয়ার আগে তাঁর প্রাক্তন স্বামী সুদীপ্ত ঘোষ এবং এক আইনজীবীর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল অভিযুক্তেরা। কলকাতা হাই কোর্টের ওই আইনজীবীর সাহায্য নিয়ে বেশ কিছু নথিও তৈরি করা হয়েছিল বলে জেরায় তারা স্বীকার করেছে। সেই সব নথি যাচাই করে দেখছে পুলিশ। ’’

Advertisement

তদন্তকারীদের একাংশ মনে করছেন, শুধু পারিবারিক শত্রুতা নয়, খুনের নেপথ্যে আর্থিক লেনদেন বা অন্য কোনও গভীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement