Suvendu Adhikari

কাঁথিতে গেরুয়া সাজে ‘শুভেন্দু বাবুর সহায়তা কেন্দ্র’, জল্পনা

‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ সেই কার্যালয়ের রং নীল-সাদা থেকে বদলে গিয়েছে গেরুয়ায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:০৯
Share:

কাঁথির সেই কার্যালয়— নিজস্ব চিত্র।

পোস্টার-ফেস্টুন ঝোলানো হয়েছিল আগেই। এ বার শুভেন্দু অধিকারীর নামে খোলা হল দফতর। কাঁথি শহরে তৃণমূলের ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়টি বদলে গিয়ে হয়েছে ‘শুভেন্দু বাবুর সহায়তা কেন্দ্র’। ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ সেই কার্যালয়ের রং নীল-সাদা থেকে বদলে গিয়েছে গেরুয়ায়।

Advertisement

দু’সপ্তাহ আগে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখনও শুভেন্দু তৃণমূলের বিধায়ক। তাঁর ‘রাজনৈতিক অবস্থান’ নিয়ে গত কয়েক মাসে নানা জল্পনা চললেও শুভেন্দু নিজে স্পষ্ট ভাবে কিছু জানাননি। তাঁর একের পর এক অরাজনৈতিক সভা সেই জল্পনাকে বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় ‘দাদার অনুগামী’দের পোস্টার পড়েছে। পুরুলিয়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম ও কাঁথি-৩ ব্লকের কুসুমপুর অঞ্চলে ‘দাদার অনুগামী’রা দফতরও খুলেছেন। কিন্তু এই প্রথম সরাসরি শুভেন্দু নাম ব্যবহার করে সহায়তা কেন্দ্র খোলা হল অধিকারী পরিবারের ‘গড়’ হিসেবে পরিচিত কাঁথি পুর এলাকায়।

তবে রাতারাতি কাঁথির ব্যবসায়ী সমিতির দফতর নীল-সাদা থেকে গেরুয়া হয়ে শুভেন্দুর সহায়তা কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার ঘটনাকে ঘিরে এখন শুরু হয়েছে জল্পনা। তিনি বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন কি না, সে প্রশ্ন তুলেছেন শহরের অনেকেই। ঠিক কোন কারণে গেরুয়া রঙ জানতে চাওয়ায় শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক কণিষ্ক পণ্ডা বলেন, ‘‘গেরুয়া রং ত্যাগের প্রতীক। সেই কারণেই তা ব্যবহার করা হয়েছে।’’

Advertisement

এর পেছনে কী কোনও ইঙ্গিত রয়েছে? কণিষ্কের সাফ জবাব, ‘‘তৃণমূলের সরকারকে উৎখাত করাই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য। এই উদ্দেশ্যেই রাজ্য জুড়ে শুভেন্দু অনুগামীরা কাজ করে চলেছেন।’’ তিনি মনে করিয়ে দেন, ক্ষুদিরামের জন্মদিনে গড়বেতার সভায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘পান্তা খাওয়া ছেলেটা আদর্শের জন্য লড়াই করছে’। সেই আদর্শের লড়াই থেকে শুভেন্দু পিছিয়ে যাবেন না বলেই দাবি তাঁর।

আরও পড়ুন: ভোট ভরাডুবির জন্য স্মৃতিকথায় সনিয়া, মনমোহনকে নিশানা প্রণবের

কণিষ্ক জানান, আগামিদিনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রতিটি ব্লকেই শুভেন্দুর নামে সহায়তা কেন্দ্র খোলা হবে। তারপর রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই শুভেন্দু অনুগামীরা কাজে নেমে পড়বেন। সহায়তা কেন্দ্র খোলার প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তাঁর মন্তব্য, ‘‘মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিতেই এই কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এই কেন্দ্রে কেউ সমস্যা নিয়ে এলে প্রয়োজন মতো শুভেন্দুর নির্দেশে সব রকম সহযোগিতা করা হবে।’’

আরও পড়ুন: গুজরাতে ছত্রাকের হানায় মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে করোনা রোগীদের

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন