পাকদণ্ডি পথ বেয়ে কয়লার ইঞ্জিনে চলা খেলনা কামরার সেই টয় ট্রেন। ঘুম-সোনাদা-টুং ছুঁয়ে দার্জিলিং পাহাড়ে যে পৌঁছে দিত পর্যটকদের। যার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে সেলুলয়েডের নানা স্মরণীয় মুহূর্তও। সেখানে কখনও রাজেশ খন্না-শর্মিলা ঠাকুরের নস্ট্যালজিয়া, কখনও হালের রনবীর কপূর-প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। সেই টয়ট্রেনের গৌরব ধরে রাখতে ইউনেস্কোর আস্থা অবশ্য রাজেশ-শর্মিলাতেই।
১৮ বছর আগে দার্জিলিঙের এই টয় ট্রেনকে হেরিটেজ হিসাবে ঘোষণা করেছিল ইউনেস্কো।
এরপর সময় আর প্রযুক্তি এগিয়ে গিয়েছে অনেকটাই। তার ছোঁওয়া লেগেছে টয়ট্রেনের গায়েও। কিন্তু তা না পসন্দ ইউনেস্কোর। যেহেতু এই ট্রেনকে হেরিটেজের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, তাই তাঁরা ওই পুরনো অবস্থাটাই ফিরিয়ে দিতে চান।
আগামী ২০ জানুয়ারি এ ব্যাপারে রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু দার্জিলিঙে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি মউ সই করবেন।
ঠিক হয়েছে, দার্জিলিঙের টয় ট্রেনকে আবার পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইউনেস্কো একটি ‘কম্প্রিহেনসিভ কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান’ তৈরি করে সেটি এ দেশের রেল কর্তাদের হাতে তুলে দেবে।
রেল সূত্রের খবর, এই পরিকল্পনা তৈরি করার জন্য ২০ সপ্তাহ সময় ধরা হয়েছে। এই পরিকল্পনা তৈরি করার জন্য উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের পক্ষ থেকে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকাও তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তারা। নতুন ওই পরিকল্পনা তিন ধাপে করা হবে। তা রূপায়ণ করবেন, রেলের ইঞ্জিনিয়ার ও প্রযুক্তিবিদরা।
রেল সূত্রের খবর, রেলের এক গুচ্ছ নয়া প্রকল্পেরও উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন।
ধৃত বাম নেতারা। ভাঙড়ের ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল করতে গেলে পুলিশ গ্রেফতার করে সিপিআইএমএল লিবারেশন-এর নেতাদের একাংশকে। বুধবার বিকেলে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের কাছে সুইমিংপুলের সামনে থেকে মিছিলের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাঁরা। সে সময় পুলিশ গিয়ে দলের জেলা কমিটির সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার-সহ ১২ জনকে গ্রেফতার করে। পরে ব্যক্তিগত জামিনে তাঁদের ছাড়া হয়।