—ফাইল চিত্র।
শারদোৎসব মানেই বাঙালির প্রাণের উৎসব। বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমী দিয়ে পুজোর সমাপ্তির পর উমা পাড়ি দিয়েছে পতিগৃহে। তাই মনখারাপ বাঙালির ঘরে ঘরে। এ বার শারদোৎসবের তিথি ছিল অনেক আগেই। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে শুরু হওয়া দুর্গাপুজোর ইতি হয়েছে ২ অক্টোবর। আর আগামী বছরের শারদোৎসবের জন্য অপেক্ষা করতে হবে প্রায় ১২ মাস। ইতিমধ্যেই উৎসবপ্রিয় বাঙালির নজর আগামী বছরের ক্যালেন্ডারে। সেখানে এখনই প্রকাশিত হয়েছে ২০২৬ সালের দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্ট।
২০২৬ সালে মহালয়া পড়ছে ১০ অক্টোবর, শনিবার। মহালয়ার দিন থেকেই দেবীপক্ষের সূচনা এবং পিতৃপক্ষের অবসান। আর দেশ জুড়ে শুরু হয়ে যাবে নবরাত্রি উৎসব। গৃহস্থবাড়ি থেকে পুজোমণ্ডপ— সর্বত্র শুরু হবে মায়ের আগমনীর গান। সেই সঙ্গে রেডিয়োর ভোরবেলা ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’ শোনার চিরাচরিত আবহও বাঙালির মনে নতুন উদ্দীপনা জাগাবে।
২০২৬ সালের দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্ট। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
এর ঠিক এক সপ্তাহ পর ১৭ অক্টোবর, শনিবার পড়ছে ষষ্ঠী। ওই দিন থেকেই মূলত দুর্গাপুজোর আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে। কলকাতা শহর এবং মফস্সলে মণ্ডপ উদ্বোধন, দেবীর বোধনের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে উৎসবের দিনগুলি। ১৮ অক্টোবর, রবিবার পালিত হবে সপ্তমী। ভোরে কলাবৌ স্নান ও নবপত্রিকা প্রবেশের মধ্য দিয়ে শুরু হবে সপ্তমীর পুজো। ১৯ অক্টোবর, সোমবার অষ্টমী— দুর্গাপুজোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। সকালবেলায় অষ্টমীর অঞ্জলি দিতে লাখো লাখো মানুষ ভিড় করবেন মণ্ডপে। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে সন্ধিপুজো, যা সর্বদাই বাঙালি সমাজের কাছে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। ২০ অক্টোবর, মঙ্গলবার পড়ছে নবমী। পুজোর মূল পর্বের শেষ দিন হিসেবে এই দিনে থাকে নানা বিশেষ আচার-অনুষ্ঠান। রাতভর নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়ে থাকে বিভিন্ন পুজোমণ্ডপে।
শেষে ২১ অক্টোবর, বুধবার বিজয়া দশমী। দুর্গার বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে পাঁচ দিনের উৎসব। সিঁদুর খেলা, প্রণাম ও মিষ্টিমুখের মধ্য দিয়ে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে বিজয়ার আবহ। এর পর বাঙালি আবার অপেক্ষা করবে এক বছরের জন্য, মায়ের আগমনের আশায়। ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর পর এ বছর কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর নির্ঘণ্ট হল ৬ অক্টোবর। তবে আগামী বছর কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো হবে ২৫ অক্টোবর।