বিক্ষোভে অধীর।—নিজস্ব চিত্র।
আগামী ৩ অক্টোবর মুর্শিদাবাদের কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে উপ-নির্বাচন। নির্বাচনী প্রচার প্রক্রিয়ায় পুলিশ পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে ও কংগ্রেস কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাসাচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে মঙ্গলবার বহরমপুরের চার্চের মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করল কংগ্রেস। দু’ঘণ্টার অবরোধে স্তব্ধ হয়ে পড়ে যান চলাচল। অবরোধ তোলার জন্য পুলিশি অনুরোধেও কোনও কাজ হয়নি। অবশেষে জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাসের নেতৃত্বে কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল পুলিশ সুপার সি সুধাকরের সঙ্গে দেখা করে। পুলিশ সুপারের আশ্বাসে ওঠে অবরোধ।
অধীর চৌধুরী এ দিন বলেন, ‘‘কংগ্রসের খেয়ে পরে যারা মানুষ হয়েছে সেই সব মিরজাফরদের নিয়ে পুলিশি সহায়তায় বাংলার মহারানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদের কংগ্রেসকে ভাঙতে চাইছে। সে গুড়ে বালি। মিরজাফর সিংহাসনের খোয়াব দেখেছিল, কিন্তু সিংহাসন পায়নি। এ জেলার কংগ্রেসের মিরজাফরাও খোয়াব দেখছে, কিন্তু স্বপ্নপূরণ হবে না।’’
কংগ্রেসের অবরোধে নাকাল যাত্রীরা। বহরমপুরে তোলা নিজস্ব চিত্র।
জেলা তৃণমূলের কার্যনির্বাহী সভাপতি উজ্জ্বল মণ্ডল বলেন, ‘‘অধীর চৌধুরীর রাজনীতির হাতে খড়ি বামেদের কাছে। তাঁর মুখে কংগ্রেসের ইতিহাস শোভা পায় না। পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে বলেই স্বয়ং অধীর চৌধুরীকে পথ অবরোধে নামতে হচ্ছে।’’
বিজেপি ও তৃণমূলকে বিঁধে এ দিন অধীরবাবু বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদীর কোমরে দড়ি পরাতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন তিনি চুপ। রাজস্থান, গুজরাত ও মহারাষ্ট্রে গোমাংস নিষিদ্ধ করেছে বিজেপি। আর চিনের প্রধানমন্ত্রীকে মোদী বলেছেন বেশি গো-মাংস রফতানি করবেন। বিজেপি-র ওই দু’মুখো নীতির কংগ্রেস প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু মমতা চুপ। গাঁটছড়া বাঁধা আছে যে!’’