খাগড়াগড়ে উদ্ধার হওয়া ৫২টি তাজা বোমা নিষ্ক্রিয় করার পুরো প্রক্রিয়া ভিডিও ক্যামেরায় তুলে রেখেছিলেন গোপাল সোনকার নামে এক ভিডিওগ্রাফার। এনআইএ আদালতে বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য দেন তিনি।
২০১৪-র ২ অক্টোবর দুপুরে বর্ধমানের খাগড়াগড়ে একটি বাড়ির দোতলায় বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণস্থল থেকে উদ্ধার করা ৫২টি তাজা বোমা পরের দিন দামোদরের তীরে নিষ্ক্রিয় করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল সোনকারকে দিয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ বোমা নিষ্ক্রিয় করার পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিওগ্রাফি করিয়ে রেখেছিল। এ দিন সাক্ষ্যের শুরুতেই ভিডিওগ্রাফির প্রমাণ হিসেবে একটি সার্টিফিকেট এনআইএ আদালতের বিচারক কুন্দনকুমার কুমাইয়ের হাতে তুলে দেন গোপালবাবু।
আদালত সূত্রের খবর, অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী মহম্মদ আবু সেলিম প্রশ্ন তোলেন, বোমা নিষ্ক্রিয় করার ভিডিও যে গোপালবাবুর ক্যামেরায় তোলা হয়েছে, ক্যাসেটের উপরে তার প্রমাণ নেই কেন? গোপালবাবু সদুত্তর দিতে পারেননি। আইনজীবীদের জেরায় গোপালবাবু জানান, তিনি কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ভিডিওগ্রাফির কোর্স করেননি। ভিডিওগ্রাফির পরে পুলিশ তাঁর কোনও বয়ানও নেয়নি বলে অভিযুক্ত পক্ষের অন্যতম আইনজীবী ফজলে আহমেদকে জানান গোপালবাবু।
অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা বুধবার আবেদন করেছিলেন, ছ’-সাত জন সাক্ষীকে এনআইএ-র কৌঁসুলি জেরা করার পরেই তাঁদের টানা জেরা করার অনুমতি দেওয়া হোক। সেই আবেদন এ দিন মঞ্জুর করেন বিচারক কুন্দনকুমার কুমাই। আদালত সূত্রের খবর, আপাতত ৩১ অগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সাক্ষীর সাক্ষ্যদান চলবে। তার পরে এনআইএ-র কৌঁসুলি ছ’-সাত জন সাক্ষীকে জেরা করবেন। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা তার পরে জেরা করবেন সেই সাক্ষীদের। আজ, শুক্রবার অচিন্ত্য বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তির সাক্ষ্য নেওয়া হবে।