বাহিনী মাত্র কিছু বুথে, সরব বিরোধীরা

বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই মোতায়েন হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ব্যতিক্রম ছিল না নন্দীগ্রামের জেলাও। তবে এ বার তমলুক লোকসভা আসনে উপনির্বাচনে একেবারে উল্টো ছবি। অধিকাংশ বুথেই থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোট হবে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ ও লাঠিধারী পুলিশ দিয়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৬ ০৪:১১
Share:

গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই মোতায়েন হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ব্যতিক্রম ছিল না নন্দীগ্রামের জেলাও।

Advertisement

তবে এ বার তমলুক লোকসভা আসনে উপনির্বাচনে একেবারে উল্টো ছবি। অধিকাংশ বুথেই থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোট হবে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ ও লাঠিধারী পুলিশ দিয়ে।

১৯ নভেম্বর তমলুক কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সে জন্য ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে ১৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের ১৮৫৫টি বুথের মধ্যে ১৫ শতাংশ বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। একমাত্র সেখানেই মোতায়েন থাকবে চার-পাঁচজন আধা সেনা। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘লোকসভা উপ-নির্বাচনে সব ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে না। শুধু স্পর্শকাতর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে।
তবে বাকি বুথে নিরাপত্তার দায়িত্বে রাজ্য পুলিশ থাকবে।’’ পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমলেরও বক্তব্য, ‘‘নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনেই স্পর্শকাতর বুথগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।’’

Advertisement

হাতে গোনা বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা নিয়ে এ নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছে বিরোধীরা। সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহির অভিযোগ, ‘‘প্রচার পর্ব থেকেই নন্দীগ্রাম, হলদিয়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় বাম কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হচ্ছে না।’’ এই পরিস্থিতিতে অবাধ ভোটের জন্য প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন আবশ্যিক বলেই মত নিরঞ্জনবাবু। তিনি জানান, এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে তাঁরা চিঠি দিয়েছেন। বিজেপি’র জেলা সভাপতি মলয় সিংহেরও নালিশ, ‘‘হলদিয়া, মহিষাদল ও নন্দকুমারে কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। কমিশনের কাছে আরও বাহিনী মোতায়েনের
দাবি জানিয়েছি।’’

বিরোধীদের অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারীর দাবি, ‘‘তমলুকে ভোটের উপযুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ রয়েছে। তবে নিরাপত্তার জন্য আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন