নৌকোর বাড়তি ভাড়া কমালেন দুই পুর-চেয়ারম্যান

টেন্ডারের সময়ে গঙ্গা পারাপারের নৌকা ভাড়া ছিল তিন টাকা। কোনও নির্দেশিকা ছাড়াই রাতারাতি তা বদলে হল পাঁচ টাকা! গত এক মাস ধরে এটাই ছিল কামারহাটির আড়িয়াদহ ঘাট থেকে হুগলির উত্তরপাড়া ঘাটের ফেরি সার্ভিসের ভাড়ার চিত্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৫ ২১:২৯
Share:

ছবি:সজল চট্টোপাধ্যায়।

টেন্ডারের সময়ে গঙ্গা পারাপারের নৌকা ভাড়া ছিল তিন টাকা। কোনও নির্দেশিকা ছাড়াই রাতারাতি তা বদলে হল পাঁচ টাকা! গত এক মাস ধরে এটাই ছিল কামারহাটির আড়িয়াদহ ঘাট থেকে হুগলির উত্তরপাড়া ঘাটের ফেরি সার্ভিসের ভাড়ার চিত্র।

Advertisement

যাত্রীরা এ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও সদুত্তর মিলছিল না মাঝি কিংবা টিকিট কাউন্টার থেকে। অবশেষে ভাড়া বাড়ার খবর পেয়ে বেজায় চটলেন গঙ্গার দু’পাড়ের দুই পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান। তাঁদের দাবি, ‘‘পুরসভার ঘাট হলেও আমাদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই একদল মাঝি ও নৌকো মালিক ভাড়া বাড়িয়েছেন।’’ অবশেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে শুক্রবার কামারহাটির চেয়ারম্যান গোপাল সাহা এবং উত্তরপাড়ার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব নিজেরাই ফেরি ঘাটে দাঁড়িয়ে পুরনো ভাড়ায় নৌকো পারাপার চালু করলেন। নৌকো পারাপারের বরাত পাওয়া সংস্থাকে শোকজের নোটিসও ঝুলিয়ে দিলেন ঘাটে। কয়েক দিন আগেই ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে ঝামেলার জেরেই কোন্নগরে ফেরি পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তাতে বেজায় সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা।

পুরসভা সূত্রের খবর, মাস দুয়েক আগে উত্তরপাড়া ও আড়িয়াদহের মধ্যে ভুটভুটি নৌকো পরিষেবার জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। তাতে বেলুড়ের এক ব্যক্তি বরাত পান। অভিযোগ, এর পরেই আচমকা ভাড়া বাড়িয়ে দেন মাঝিরা। বিষয়টি জানতে পেরে বরাত পাওয়া সংস্থাকে চিঠি পাঠানো হয়। দুই পুরপ্রধানই বলেছেন, ‘‘পুরসভার সঙ্গে আলোচনা ছাড়া ভাড়া বাড়ানো নিয়ম-বিরুদ্ধ। প্রয়োজনে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। যাত্রীদের হয়রানি কোনও ভাবেই মানা হবে না।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন