অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি দেখতে এসে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী বা কোনও ক্রীড়াকর্তার দেখা পেলেন না কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী বিজয় গয়াল। তবে তার পরেও মমতা সরকারের সমালোচনার পথে হাঁটেননি গয়াল। জানিয়েছেন— রাজনীতির জন্য নয়, যুব বিশ্বকাপের তোড়জোড় দেখতেই কলকাতায় এসেছিলেন তিনি।
ক্রীড়ামন্ত্রী এ কথাও জানিয়ে গেলেন, যুব বিশ্বকাপের জন্য যুবভারতীর প্রস্তুতি নিয়ে একেবারেই উদ্বিগ্ন নন তিনি। ৩০ মে সময়সীমার মধ্যে ‘দিদির রাজ্যের মাঠ’ তৈরি হয়ে যাবে বলে তিনি নিশ্চিত।
এ সব থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, মমতা-মোদী সংঘাত কি এ বার যুবভারতীর সবুজ ঘাস পর্যন্ত গড়াল? নাকি ফুটবল এখন হয়ে উঠছে যুদ্ধবিরতির প্রতীক?
যুবভারতীতে গিয়ে সরকারের কোনও প্রতিনিধির দেখা পাননি গয়াল। প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবে ছিলেন শুধু ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, অলোক মুখোপাধ্যায়, অতনু ভট্টাচার্য এবং সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এমন ‘শীতল আপ্যায়ন’ পেয়ে গয়াল যে খুব একটা প্রসন্ন হয়েছেন, এমন ইঙ্গিত মেলেনি।
তবে আনন্দবাজারের সঙ্গে একান্ত কথাবার্তায় ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, ‘‘যুব বিশ্বকাপের সময় কলকাতাকে সাজিয়ে তোলার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখব। বলব, যুব বিশ্বকাপকে পর্যটনের সুযোগ হিসেবে নিয়ে লোক টানুন।’’ বিশেষ করে বিমানবন্দর থেকে যুবভারতী এবং বাইপাসের হোটেলগুলির সংলগ্ন অঞ্চলকে সাজানোর প্রস্তাব দিচ্ছেন গয়াল।
৬-২৮ অক্টোবর বিশ্বের ছ’টি অঞ্চল থেকে ২৪টি দল খেলবে এই টুর্নামেন্টে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দিল্লিতে হলেও ফাইনাল হবে কলকাতায়। ব্রাজিলের খুদেরা আসছে। কিন্তু যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি আর্জেন্তিনা। ভারত আয়োজক দেশ হিসেবে খেলার সুযোগ পেয়েছে। এশিয়া থেকে অন্যরা হল— ইরান, ইরাক, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া।
গয়াল জানিয়ে গেলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থাকবেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। কিন্তু কলকাতার ফাইনালে কে থাকবেন, মোদী না মমতা?
নাকি গয়ালের দাবি মতো রাজনীতি আর ফুটবল মিশবে না। পাশাপাশি বসে খেলা দেখতে দেখা যাবে দিদি-মোদীকে?