বারবার মুখ্যমন্ত্রী!
২১ জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের মঞ্চে থাকাকালীন গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ভাঙড়ের বাসিন্দা সুখেন কর্মকার। কোনও মতে তাঁকে ধরে নিরস্ত করে পুলিশ। তার সাত মাসের মধ্যেই, বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ঢুকে পড়লেন দুই বোন। এর জেরে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে, বারবার এ ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে সমস্যা জানানোর চেষ্টা কেন? তবে কি ওই পথেই সমস্যার দ্রুত সুরাহা হচ্ছে?
সুখেন অবশ্য জানাচ্ছেন, ২১ জুলাইয়ের পরে তাঁর সমস্যা মেটার বদলে বেড়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন বলে তাঁকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। সুখেন বলেন, ‘‘এক লক্ষ ৮৫ হাজার টাকার দেনা ছিল। পাওনাদার টিকতে দিচ্ছিল না। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে গিয়েছিলাম। বারবার বলতে না-পেরে হতাশায় ঠিক করি, গায়ে আগুন দেব।’’ কাঁদতে কাঁদতে সুখেন বলেন, ‘‘আমার কথা কেউ শোনেনি। উল্টে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল।’’
ভাঙড়ের কাশীপুর থানা এলাকায় বাবা-মা, স্ত্রী এবং দু’বছরের ছেলেকে নিয়ে থাকেন ওই যুবক। এখন রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। দিনাজপুরে দুই বোনের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার চেষ্টার কথা শুনে বললেন, ‘‘আমার মতো ওঁরাও ভেবেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গেলেই সমস্যা মিটবে। কিন্তু গরিবের কথা কেউ শোনে না।’’