Bardhaman

বর্ধমান মেডিক্যালে করোনা ওয়ার্ডে চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগ রোগীর আত্মীয়দের

গত বছর চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতাল অধিগ্রহণ করলেও, এ বছরে এখনও প্রশাসন তেমন কোনও পদক্ষেপ করেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২১ ১৬:৩৩
Share:

নিজস্ব চিত্র

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের কোভিড চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ রোগীর আত্মীয়দের। কেউ বলছেন, আক্রান্তদের দেখভালের লোকের অভাব, কেউ অভিযোগ করছেন ওষুধ কিনতে হচ্ছে কালো বাজারে। পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন রোগীর আত্মীয়, পরিজন, পরিবারের লোকেরা।

Advertisement

পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা সংক্রমণের হার অনেকটাই বেড়েছে। গত দু’দিন ধরে রোজ গড়ে ৮০০ রোগী নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে বাড়তে থাকায় ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।

গত কয়েকদিন ধরে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাধারানি মহতাব ব্লক বা রাধারানি ওয়ার্ডে কোভিড রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই ওয়ার্ডেই চূড়ান্ত অব্যবস্থা আর পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ করছেন রোগীর আত্মীয়রা।

Advertisement

মেমারির বাসিন্দা রূপা দাসের বাবা এই ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। রূপার অভিযোগ, ‘‘আমাদের রোগীর কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এ দিকে ওয়ার্ডে রোগীর প্রয়োজনের সময় তাঁর খেয়াল রাখার কেউ নেই। হাসপাতালের কর্মীরা দায় এড়িয়ে একে অপরকে দেখিয়ে দিচ্ছেন। আলাদা করে আয়াও রাখার ব্যবস্থা নেই এখানে।’’ একাধিক রোগীর আত্মীয়ের অভিযোগ এমনই। কেউ বলেছেন, আক্রান্ত সামান্য জলটুকু পাচ্ছেন কি না, তার কোনও হদিশ নেই। কার কতটা অক্সিজেন লাগবে, সেটাও দেখছেন না কেউ।

আর এক রোগীর আত্মীয় প্রদীপ সরকারের অভিযোগ, ‘‘আমাদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। ও দিকে ওঁরাও কিছু করছেন না। রোগীকে খাবারটুকু খাইয়ে দেবার লোক নেই। আমার রোগী নেগেটিভ না পজিটিভ, দশ দিন হয়ে গেলেও জানতে পারিনি। জানতে চাইলে কাউন্টারে কাউন্টারে ঘুরতে হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন যে ওষুধ কালো বাজারে কিনতে হচ্ছে, বাইরে থেকে।’’

এইসব অভিযোগ নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় জানান, ‘‘অভিযোগগুলি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখবো।’’

গত বছর কোভিড সংক্রমণের প্রথম পর্যায়ে অনেকদিন পর্যন্ত একটি বেসরকারি হাসপাতাল করোনা চিকিৎসার জন্য নিয়েছিল সরকার। সেখানেই মোটামুটি ভাল পরিষেবা পেয়েছেন অনেক রোগী। এ বারে সে ব্যবস্থা নেই। কিছু বেসরকারি হাসপাতালে বা নার্সিং হোমকে এ বারে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেখানেও বিপুল খরচ। বেশিরভাগ রোগীর পরিজন সেই খরচ বহনে অক্ষম। তাই হাসপাতালে আরো চাপ বাড়ছে।

জেলাশাসক প্রিয়ঙ্কা সিংলা বলেন, ‘‘২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বেসরকারি একটি হাসপাতালকে কোভিড চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। আপাতত ৬৫টি বেড নিয়ে কোভিড চিকিৎসা মিলবে। তাতে সমস্যা কিছু মিটতে পারে বলে আশা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন