খসড়া বিধি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শিক্ষকদের আলোচনায় সমাধানসূত্র বেরোল না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস শুক্রবার বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জুটা), অধ্যাপক সংগঠন আবুটা বিধির বিভিন্ন ধারার বদলের দাবিতে অনড় থাকে। বৈঠকের পরে উপাচার্য বলেন, ‘‘অধ্যাপকদের সব পক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আলোচনার প্রক্রিয়া জারি রয়েছে।’’
সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই শাস্তি-সহ খসড়া বিধির বেশ কিছু ধারার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন যাদবপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং পড়ুয়ারা। সব পক্ষকেই বিধি নিয়ে মতামত জানাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাতে বিষয়টি না মেটায় আলোচনার সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ। তাঁরা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্সের কয়েকটি ধারা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু এ দিন জুটার প্রতিনিধিরা ওই সব ধারা গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন। জুটা’র সভাপতি কেশব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আগে লিখিত ভাবে আমাদের মতামত জানিয়েছিলাম। এ দিনের বৈঠকেও তা-ই জানিয়েছি।’’ আবুটা’র পক্ষে গৌতম মাইতি বলন, ‘‘হাজিরার ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু, রাজ্যের নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুললে শাস্তি— এই সব ধারা নিয়ে আপত্তি আছে। ’’
নিয়ম অনুযায়ী খসড়াবিধি তৈরি হলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতিতে পাশ করাতে হয়। গত জুলাইয়ে রাজভবন থেকে খসড়াবিধি যাদবপুরে পৌঁছলেও কর্তৃপক্ষ এখনও বিধি নিয়ে কর্মসমিতির বৈঠকে আলোচনা করেননি। কর্তৃপক্ষ চান, কর্মসমিতির বাইরে সব পক্ষের সঙ্গে আগে আলোচনা করে নিতে।