প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান শিক্ষার প্রতিষ্ঠান আপাতত দু’টি এবং দু’টিই দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গে নেই একটিও। সেই ঘাটতি জোড়া কলেজ দিয়ে পূরণ করে দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে ভেটেরিনারি বা প্রাণী কলেজ এবং ফিশারিজ সায়েন্স বা মৎস্যবিজ্ঞান কলেজ পাচ্ছে উত্তরবঙ্গ। জলপাইগুড়িতে খুব শীঘ্রই ওই দু’টি কলেজ গড়ে তুলবে রাজ্য।
মঙ্গলবার বেলগাছিয়ায় প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গে জোড়া কলেজ গড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান উপাচার্য পূর্ণেন্দু বিশ্বাস। ওই দু’টি কলেজ তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে আর্থিক সহায়তা দেবে রাজ্য সরকার। তবে দু’টি প্রকল্পই রূপায়ণ করবেন বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ।
রাজ্য সরকার ওই দু’টি কলেজ তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়কে ২৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। দু’টি প্রতিষ্ঠানের জন্য জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে প্রায় ১৫১ একর জমি দেখা হয়েছিল আগেই। কিন্তু জমিরই জটিল জটে কলেজ গড়ে তোলার কাজ আটকে ছিল দীর্ঘদিন। সেই জট কাটাতে গত বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ করতে হয়।
ফেব্রুয়ারিতেই নতুন দু’টি কলেজ তৈরির কাজ শুরু হবে বলে এ দিন জানান উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে কলকাতায় আর নদিয়ার মোহনপুরে। ময়নাগুড়িতে ২০১৯ সালে নতুন দু’টি কলেজের পঠনপাঠন শুরু হয়ে যাবে।’’ সেই সঙ্গে ঝাড়গ্রামের লোধাশুলিতে ৪০ একর জমিতে প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সটেনশন সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে। পূর্ণেন্দুবাবু জানান, ঝাড়গ্রামে পশু-প্রজনন কেন্দ্র তৈরি হবে। ‘ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট’ ও ঘুংড়ু প্রজাতির শুয়োর চাষ হবে সেখানে।
কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সহায়তায় ২৫ একর জমিতে কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায়। নতুন কৃষি-প্রযুক্তি সম্পর্কে চাষিদের সড়গড় করে তুলতেই এই কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান পূর্ণেন্দুবাবু।