TMC

রাজনৈতিক সংঘর্ষ, গুলিতে আহত বৃদ্ধ

তৃণমূলের অভিযোগ, শনিবার মাথাভাঙা শহরের মেলার মাঠে দলের জনসভা ছিল। ওই সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন বালাসি গ্রামের কর্মী-সমর্থকেরাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মাথাভাঙা শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২০ ০৬:১৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

রাজনৈতিক গোলমালের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ চলছেই কোচবিহার জেলায়। এ বার জেলার মাথাভাঙায় তৃণমূলের এক বৃদ্ধ কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল।

Advertisement

শনিবার রাতে মাথাভাঙার হাজরাহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বালাসি গ্রামে ওই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা আচমকা এলাকার দলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে হামলা চালায়। সেইসময় ওই বয়স্ক কর্মী সেখানে ছিলেন। তাঁকে লক্ষ্য করে অন্তত দু’রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। জখম ব্যক্তির নাম আব্দুল জলিল মিয়াঁ। কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে জখম ব্যাক্তির চিকিৎসা চলছে। বিজেপি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে ওই ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি পুরো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গোলমালের ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসিয়ে নজর রাখা হচ্ছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার কে কান্নন বলেন, “ইতিমধ্যে ৬ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ হচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশের নজরদারিও রয়েছে।”

তৃণমূলের অভিযোগ, শনিবার মাথাভাঙা শহরের মেলার মাঠে দলের জনসভা ছিল। ওই সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন বালাসি গ্রামের কর্মী-সমর্থকেরাও। তাঁদের মধ্যে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য খাদিজা খাতুন ছিলেন। সভায় যোগ দেওয়ার অপরাধে ওই রাতে তিনি বাড়ি ফেরার পর বিজেপি মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। ঘরে ভাঙচুর করা হয়। গোলমাল দেখে তাঁর প্রতিবেশী, দলের কর্মী আব্দুল জলিল মিয়াঁ ওই বাড়ির সামনে আসতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ওই ব্যক্তির ডান হাতে ও পায়ে গুলি লাগে। মুখে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করায় চোয়ালও জখম হয়েছে। এলাকার লোকজন ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। তৃণমূলের স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য খাদিজা খাতুন বলেন, “সভা থেকে ফেরার পর আচমকা বিজেপি মদতপুষ্ট লোকেরা বাড়িতে ঢুকে পড়ে। বিদ্যুৎ বন্ধ করে ভাঙচুর চালায়। শব্দ শুনে আশেপাশের লোকজন বাইরে আসেন। তখন আমাদের প্রতিবেশী, দলের ওই কর্মীকে লক্ষ্য করে নামে গুলি চালানো হয়।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা চেয়ারম্যান বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “আমি এখন কলকাতায় রয়েছি। বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে বলব।”

Advertisement

বিজেপি অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। দলের কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে। যা হয়েছে সবটাই এলাকা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৃণমূলের স্থানীয় দুই গোষ্ঠীর গোলমালের জের। নিরপেক্ষভাবে পুলিশ তদন্ত করলেও বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন