Dinhata

দিনহাটায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিল প্রায় ১৫০ পরিবার, ‘নাটক’ বলল শাসকদল

ধরলা নদীর জন্য বিচ্ছিন্ন গিতালদহের জারিধরলা ও দরিবস গ্রাম। স্বাধীনতার বহু বছর পরেও ওই এলাকাগুলোতে উন্নয়ন পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। এই অনুন্নয়ন ইস্যুকে হাতিয়ার করেছে বিজেপি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

দিনহাটা শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৩ ২১:৩৯
Share:

দিনহাটার তৃণমূলত্যাগীদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। —নিজস্ব চিত্র।

এক মাস আগে এলাকায় সভা করে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গোষ্ঠীকোন্দল বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন নেতৃত্বকে। কিন্তু ভাঙন ঠেকানো গেল না। বুধবার কোচবিহারের দিনহাটার প্রায় ১৫০ পরিবার তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে। তুলে নিলেন গেরুয়া পতাকা।

Advertisement

দিনহাটা এক নম্বর ব্লকের সীমান্ত গ্রাম গিতালদহের দরিবস এলাকায় একটি রাজনৈতিক সভায় তৃণমূল ছেড়ে শতাধিক মানুষ বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন বিজেপির দিনহাটা শহর ব্লক সভাপতি অজয় রায় এবং বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য দীপক রায়।

ধরলা নদীর জন্য বিচ্ছিন্ন গিতালদহের জারিধরলা ও দরিবস গ্রাম। স্বাধীনতার বহু বছর পরেও ওই এলাকাগুলোতে উন্নয়ন পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। এই অনুন্নয়ন ইস্যুকে হাতিয়ার করে ওই সমস্ত এলাকায় সংগঠন বৃদ্ধি করছে বিরোধী দল। বিজেপির দাবি, গত কয়েক দিনে কয়েকশো মানুষ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা আগে ছিলেন তৃণমূলে। যদিও তৃণমূলের দাবি, তাদের কেউ দল ছাড়েননি। বিজেপিতে যোগদানও করেননি। শাসকদলের অভিযোগ, এলাকায় বেশ কিছু দিন ধরেই নানা ভাবে শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এখন নিজেদের দলের কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে বিজেপি।

Advertisement

এই যোগদান নিয়ে বিজেপির শহর মণ্ডল সভাপতি অজয় রায় বলেন, ‘‘ওই সমস্ত এলাকায় দীর্ঘদিন কোনও উন্নয়ন পৌঁছোয়নি। যত টুকু উন্নয়ন পৌঁছেছে সেটাও তৃণমূলের নেতারা লুটেপুটে খেয়েছেন। বুধবার সীমান্তের ওই গ্রামে তৃণমূলের দেড় শতাধিক পরিবার বিজেপিতে যোগদান করেছে।’’ অন্য দিকে, তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘আমাদের দল ছেড়ে এক জনও বিজেপিতে যাননি। নিজেদের লোকের হাতে দলীয় পতাকা ধরিয়ে দিয়ে নাটক করছে বিজেপি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন