—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ধীরে হলেও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে কোচবিহার। জলমগ্ন এলাকাগুলি থেকে জল নামছে। তোর্সা নদীর জলস্তর এখন বিপদসীমার নিচে বইছে। তার মাঝেই উদ্ধার হল চারটি দেহ। তাদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
সোমবার দুটি অজ্ঞাতপরিচয় দেহ উদ্ধার হয় কোচবিহার-২ ব্লকের তোর্সা সংলগ্ন বাঁশদহ এবং দেওতিবাড়ি এলাকা থেকে। অনুমান করা হচ্ছে, তোর্সার প্লাবনেই ভেসে গিয়েছিলেন দু’জন। কোচবিহারের সদরের মহকুমা শাসক কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কোচবিহার-২ ব্লকের দুটি অজ্ঞাতপরিচয় দেহ উদ্ধার হয়েছে। শনাক্ত করার কাজ চলছে।’’
অন্য দিকে, কোচবিহারের মাথাভাঙার কেদারহাট এলাকার শিমলাগুড়ি এলাকায় এক কৃষক এবং একটি শিশু রবিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। সোমবার মানসাই নদী থেকে তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, মৃত কৃষকের বয়স ৬০ বছর। শিশুটি ৯ বছরের।
মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ গড়াই বলেন, ‘‘মাথাভাঙার কেদারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের আমবাড়ি এলাকার বাসিন্দা দয়ারাম বর্মণ বন্যার জলে ডুবে মারা গিয়েছেন। সোমবার তাঁর বাড়ির কাছে একটি ধানখেতে তাঁর দেহ ভেসে এসেছে। মৃন্ময় বর্মণ নামে একটি নাবালকের দেহ তার বাড়ির কাছে একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে।’’