ইংরেজবাজারের ব্যবসায়ী রামরতন অগ্রবাল, তাঁর স্ত্রী মঞ্জুদেবী এবং পরিচারক গণেশ রামকে খুনের ঘটনায় পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তি যুক্ত বলে পুলিশ সন্দেহ করছে। রামরতনবাবুর ঘরের আসবাবপত্রের নীচে লুকিয়ে রাখা একটি রক্তমাখা লোহার রড উদ্ধারের পরে পুলিশের সন্দেহ আরও জোরদার হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে দৈনন্দিন কাজে যুক্ত ৩ জনকে আটক করেছে। তাদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। কিন্তু, প্রাথমিক তদন্তে তিন জনের বক্তব্যে পরস্পরবিরোধী নানা তথ্য রয়েছে বলে পুলিশের দাবি। ফলে, পুলিশ পর্যায়ক্রমে তাদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা শুরু করছে। পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানান, তদন্তে অনেক সূত্র মিলেছে। তাতে তদন্তকারীদের সন্দেহ, টাকা লুঠ তো বটেই, পুরানো কোনও ঘটনার ‘বদলা’ নেওয়ার জন্যও খুন করা হয়ে থাকতে পারে।
তা হলে পরিচারককে খুন করা হল কেন? পরিচারক গণেশ রামের মোবাইল ফোনটিই বা কোথায় গেল? গণেশের মোবাইলের কল রেকর্ড হাতে পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, ওই কল রেকর্ড পেলে তদন্তের আরও অগ্রগতি হতে পারে। সিআইডির ডিআইজি তাপসকুমার দাস অবশ্য বলেন, ‘‘এখনই কিছু বলা যাবে না। তবে ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমাদের তদন্ত চলছে।’’
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বাড়িতেই খুন হন রামরতনবাবু সহ তিন জন। শুক্রবার সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় তিন জনেরই মৃতদেহ উদ্ধার হয়।