নিজস্ব চিত্র।
এ বার মালদহে বিজেপি-তে রক্তক্ষরণ। ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতির চার জন বিজেপি সদস্য দল ত্যাগ করে যোগদান করলেন তৃণমূলে।
সোমবার দুপুরে মালদহ শহরের স্টেশন রোড এলাকায় তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে এই যোগদান কর্মসূচি ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী, দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি শুভদীপ সান্যাল-সহ অন্যান্যরা। পঞ্চায়েত সমিতির যে চার সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এলেন, তাঁরা হলেন— সাধন মণ্ডল, সত্যরাম মণ্ডল, পায়েল সরকার এবং দুম্পি সাহা। তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন রাজ্যের মন্ত্রী এবং দলের জেলা সভাপতি।
ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন ৩২টি রয়েছে। তার মধ্যে তৃণমূলের দখলে ছিল ২২টি আসন, বিজেপি-র দখলে ৮টি, এক জন কংগ্রেস ও এক জন নির্দল। বিজেপি-র দুই এবং কংগ্রেস ও নির্দলের দুই সদস্য আগেই তৃণমূলে যোগ দেন। এ দিনের যোগাদানের পর তৃণমূলের আসন দাঁড়াল ৩০।
দলত্যাগী সাধনের বক্তব্য, ‘‘বিজেপি-তে থেকে কোনও কাজ করা যাচ্ছে না। অথচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের জন্য একের পর এক সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়ন করে চলেছেন। আমরা দীর্ঘ দিন ধরে বিজেপির হয়ে জনপ্রতিনিধিত্ব করলেও আমাদের কাজ করার কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি।’’ সত্যরাম বলেন, ‘‘ন্যূনতম সম্মানটুকু আমাদের মেলেনি। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সৈনিক হিসাবে আমরা তৃণমূল থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।’’
মন্ত্রী সাবিনা বলেন, ‘‘রাজ্য জুড়ে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। একের পর এক প্রকল্পে মানুষকে কর্মসংস্থান সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। ঘরে বসে মহিলারা লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা পাচ্ছেন। এ সব দেখেই ওঁরা তৃণমূলে এলেন।
বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য অম্লান ভাদুড়ী বলেন, ‘‘রাজ্যকে বিরোধী শূন্য করতে চাইছে তৃণমূল। ভয় পেয়েই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন সবাই।’’