প্রতি বছরের মতো এ বছরও এটিও ক্লাবের উদ্যোগে মহালয়ার ভোরে চালসা থেকে মালবাজার পর্যন্ত ৯ কিলোমিটারের ম্যারাথন দৌড়ের আয়োজন হয়েছে। উত্তরবঙ্গের নানা প্রান্ত থেকেই খেলোয়াড়রা এই ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নিতে আসছেন বলেও পুজো কমিটির সভাপতি প্রতীক ঘটক জানান।
মালবাজারের শহরে শিলিগুড়ির দিক থেকে ঢুকতেই ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে প্রথম যে বড় দুর্গাপুজোটি চোখে পড়ে, সেটা এটিও ক্লাবের পুজো। এ বারে ২০ তম বর্ষের এটিও বা অ্যাব্লুম ট্যালেন্টেড অর্গানাইজেশনের পুজোর আকর্ষণই হল দু্র্গা প্রতিমা। ডুয়ার্সের সব থেকে বড় প্রতিমা বলে দাবি করে শহর জুড়ে ফ্লেক্সও টাঙিয়ে দিয়েছে এই ক্লাব। প্রতিমার উচ্চতা প্রায় ২২ ফুট বলে ক্লাব জানিয়েছে। আর সব থেকে বড় পুজোর এই প্রচার দেখেই রীতিমতো পুজোর পারদও চড়তে শুরু করে দিয়েছে মালবাজারে। ক্লাব কর্মকর্তাদের দাবি, আকারে শুধু বড় নয়, প্রতিমার সাজসজ্জা এবং দেবীমুখের নিখুঁত কারুকার্যও নজর কেড়ে নেবে।
সাবেক ঢাকেশ্বরীর আদলে তৈরি এই প্রতিমা পুরোটাই একচালায় নির্মিত বলেও ক্লাবের তরফে জানান হয়েছে। প্রায় আড়াই তলা বাড়ির সমান উচ্চতার এই প্রতিমা চওড়ায় হচ্ছে ২৪ ফুট। ক্লাব সম্পাদক অমিতাভ ঘোষ এবং পুজোর কমিটির সম্পাদক রতন বসাকেরা জানান, গত বছর সাঁচি স্তুপের আদপে মণ্ডপের পরই এটিও-কে ঘিরে মানুষের প্রত্যাশা আরও বেড়ে গিয়েছিল। সে কারণেই ডুয়ার্স জুড়ে সাড়া ফেলতে ডুয়ার্সের সব থেকে বড় দুর্গা তৈরির সিদ্ধান্ত আমরা নিয়ে ফেলেছি। কৃষ্ণনগরের শিল্পীরা এই প্রতিমা তৈরি করছেন। মহালয়াতেই প্রতিমা মণ্ডপে চলে আসবে বলেও জানান। এরপর শেষ তুলির টানের মৃন্ময়ীকে চিন্ময়ী করে তোলার প্রক্রিয়া ক্লাবের মণ্ডপেই করা হবে।