বিপ্লব ছেড়ে অর্পিতার হাত

এঁদের মধ্যে বালুরঘাটের পুরপ্রধান রাজেন শীল ও বালুরঘাট পুরসভার একাধিক কাউন্সিলর ইতিমধ্যে বালুরঘাট থেকে সমাবেশে যোগ দিতে কলকাতা পৌঁছে গিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৯ ০৩:৫২
Share:

—ফাইল চিত্র।

২১ জুলাইয়ে সমাবেশকে সামনে রেখে ফের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদে শাসক দলে যোগ দিতে চলেছেন বিপ্লব শিবিরের এক সদস্য। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা পরিষদের ওই সদস্য হলেন বিশ্বনাথ পাহান। ফলে ১৮ সদস্য-বিশিষ্ট জেলা পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ ১২ জন সদস্যই তৃণমূলের অর্পিতা শিবিরে। আর মাত্র একজন সদস্যকে তৃণমূলে ফেরাতে পারলে বিপ্লবের শিবির জেলা পরিষদে এক-তৃতীয়াংশের গরিষ্ঠতা হারাবে। পাশাপাশি, বিপ্লব অনুগামী বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা, যাঁরা এতদিন ওই দুই যুযুধান শিবিরের মধ্যবর্তী অবস্থানে থেকে জল মাপছিলেন, তাঁরাও ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠানের হাত ধরে শাসক শিবিরে ভিড়লেন বলে তৃণমূল দাবি করেছে।

Advertisement

এঁদের মধ্যে বালুরঘাটের পুরপ্রধান রাজেন শীল ও বালুরঘাট পুরসভার একাধিক কাউন্সিলর ইতিমধ্যে বালুরঘাট থেকে সমাবেশে যোগ দিতে কলকাতা পৌঁছে গিয়েছেন। বিপ্লব শিবির ছেড়ে আইএনটিটিইউসি প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মণ্ডলও দলবল নিয়ে এ দিন ওই সমাবেশে যোগ দিতে বালুরঘাট থেকে ট্রেন ধরেছেন।

শনিবার তাঁদের এবং অন্য কর্মীদের খোঁজখবর নিতে তৃণমূল জেলা সভানেত্রী অর্পিতা নিজে বালুরঘাট ভবনে যান। এই জেলা থেকে কলকাতায় আগত দলের কর্মী-সমর্থকদের জন্য সল্টলেক ও শিয়ালদহ এলাকায় একাধিক লজ ও হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অর্পিতা নিজে সেই ব্যবস্থা দেখভাল করছেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

দলত্যাগী জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায়ের দেহরক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিজেপি থেকে ফের তৃণমূলে যোগ দেওয়া জেলা পরিষদের তিন সদস্য গৌরী মালি, ইরা রায় ও পঞ্চানন বর্মণকে নিরাপত্তা দিতে দেহরক্ষী দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বিপ্লবের বিজেপি শিবির থেকে আরও এক পরিষদের সদস্য তৃণমূলে যোগ দেবেন বলে কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন। এ দিন টেলিফোনে অর্পিতা বলেন, ‘‘বিশ্বনাথ পাহান ইতিমধ্যে বিজেপি ছেড়ে দলে ফিরতে চেয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করছেন। আরও কয়েকজন দলে ফিরতে চাইছেন বলে অর্পিতার দাবি। নিরাপত্তার বিষয়ে নিয়ে তিনি জানান, যারা নিরাপত্তা চেয়েছেন, তাঁদের সকলকে তা দেওয়া হয়েছে।’’

বিজেপি নেতা বিপ্লবের অভিযোগ, শাসক দলের নির্দেশে প্রশাসনিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করে ওই সদস্যরা তৃণমূলে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন