প্রতীকী ছবি।
গরুচোর সন্দেহে ধূপগুড়িতে দু’জনকে পিটিয়ে খুনের ঘটনার জেরে জলপাইগুড়ি জেলার হাটগুলিতে বিকেল তিনটের পর গরু বেচা-কেনা নিষিদ্ধ করতে চলেছে পুলিশ৷ জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানিয়েছেন, ধূপগুড়িতে ইতিমধ্যেই এই নির্দেশ কার্যকরী করা হয়েছে। একই সঙ্গে সূর্যাস্তের পর ব্যবসায়ীরা যাতে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গরু নিয়ে যেতে না পারে—সে ব্যাপারেও নিয়ম চালু করতে চলেছেন পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা৷
শনিবার রাতে ধূপগুড়ির গাদংয়ের বারোহালিয়া গ্রামে গণ পিটুনিতে দুই যুবক মারা যান। রবিবার রাতে ওই এলাকা থেকে ৮ জনকে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। আর সে খবর ছড়িয়ে পড়তেই সোমবার সকাল থেকে এলাকার বহু বাসিন্দা ধূপগুড়ি থানায় এসে জড়ো হতে থাকেন। আটকদের মুক্তির দাবিতে তাঁরা পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে থানা চত্বরে ঢুকে পড়েন। তাঁদের দাবি, পুলিশ নির্দোষদের তুলে এনেছে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ আটক ৩ জনকে গ্রেফতার করে জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠায়। বাকি ৫ জনকে পরিবারের হাতে তুলে দেয়। ধৃতদের পরিবারের বক্তব্য, পুলিশ নির্দোষদেরই গ্রেফতার করেছে।
ধূপগুড়ির ঘটনা নিয়ে জেলা পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন, শেখ হামিরুদ্দিন নামে এক ব্যক্তি নিয়ম মেনে গরুগুলি কিনেছিলেন৷ পরদিন ভোরে কোচবিহারের একটি হাটে গরুগুলিকে পৌঁছনোর জন্য অনেক রাতে সেগুলিকে গাড়িতে তুলে ধূপগুড়ি থেকে রওনা করানো হয়৷ কিন্তু শর্টকাট রুটে গন্তব্যে পৌঁছতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন গাড়ির চালক ও খালাসি৷ তারা গাদং-এর একটি গ্রামে ঢুকে গিয়ে একই রাস্তা দিয়ে বারবার ঘুরপাক খেতে থাকে৷ এতেই সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের৷ তারপরই ঘটে গণপিটুনির ঘটনা৷