Death

Death: মাথাভাঙা কলেজে এনসিসি শিবিরে অসুস্থ ছাত্রী, হাসপাতালে মৃত্যু

আলিপুরদুয়ারের বাবুপাড়া গার্লস স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী বিপাশা রায় মঙ্গলবার সকালে মাথাভাঙা কলেজে এনসিসি শিবিরে যোগ দিয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মাথাভাঙা শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২২ ২০:১৭
Share:

মৃত বিপাশা রায়। —নিজস্ব চিত্র।

ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (এনসিসি)-এর শিবিরে গিয়ে আচমকা অসুস্থ হয়ে মারা গেল দ্বাদশ এক ছাত্রী। তার পরিবারের তরফে সামগ্রিক ভাবে গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। ঘটনায় তদন্তের দাবি তুলেছে ওই ছাত্রীর পরিবার। এনসিসি-র তরফে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারের বাবুপাড়া গার্লস স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী বিপাশা রায় মঙ্গলবার সকালে মাথাভাঙা কলেজে এনসিসি শিবিরে যোগ দিয়েছিল। বিপাশার বাবা তাকে শিবিরে দিয়েও এসেছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, যাওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই বিপাশা অসুস্থ হয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় বাড়িতে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁরা কলেজে গিয়ে দেখতে পান, অসুস্থ অবস্থায় পড়ে রয়েছে বিপাশা। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে। শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল বলে ভর্তি নেওয়া হয় আইসিইউ। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়।

ঘটনায় তদন্তের দাবি তুলেছে বিপাশার পরিবার। মৃত ছাত্রীর দিদি কণিকা রায় পালের বক্তব্য, ‘‘সামগ্রিক গাফিলতির কারণে বোনের মৃত্যু হয়েছে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলে বোনের মৃত্যু হত না। সকাল ৮টা নাগাদ বাবা বোনকে ক্যাম্পে পৌঁছে দিয়েছিল। তার পর ও অসুস্থ হয়ে পড়ে। দুপুর দুটো নাগাদ শিবির থেকে আমাদের ফোন করা হয়। আমার মামা এবং ভাই বিকেল পাঁচটা নাগাদ ক্যাম্পে পৌঁছয়। তখনও বিপাশা সেখানে পড়ে ছিল। ওর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। মামা আর ভাই এর পর শিবির থেকে বিপাশাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’’

Advertisement

এ নিয়ে তাঁরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করবেন বলেও জানিয়েছেন কণিকা। মাথাভাঙা কলেজের টিচার ইনচার্জ সুলগ্না দত্তের বক্তব্য, ‘‘এই মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। মেয়েটি বাড়ি থেকে কলেজে আসার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিবিরে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। তবে কী কারণে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখা হবে। এনসিসি বিভাগ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন