ঝোপ থেকে মিলল বালিকার দেহ

ওই ছাত্রী ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার শিক্ষক দিবসের দিন বাড়ির উঠোন থেকে নিখোঁজ হয়। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডালখোলা শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:৪৪
Share:

তদন্ত: কুকুর নিয়ে পুলিশ। ডালখোলায় শনিবার। নিজস্ব চিত্র

তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর বাড়ির পিছনে একটি ঝোপের মধ্যে মিলল ৯ বছরের এক বালিকার পচাগলা মৃতদেহ। উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলার হাটবাড়ির ঘটনা। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই বালিকা তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।

Advertisement

ওই ছাত্রী ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার শিক্ষক দিবসের দিন বাড়ির উঠোন থেকে নিখোঁজ হয়। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। কিন্ত পুলিশ শুরু থেকে বিষয়টি গুরত্ব দিয়ে দেখেনি বলে অভিযোগ করেন বাসিন্দারা। শনিবার সকালে বাড়ির পাশে এক পড়শি মহিলা গন্ধ পেয়ে দেখতে পান সোনালির দেহ পড়ে আছে। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পরে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

এক বালিকাকে কেন কারা খুন করল, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পুলিশ একাধিক বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ ওই বালিকার এক কাকা ও এক কাকিমাকে আটক করেছে। সূত্রের খবর, আটক কাকা অবিবাহিত। আটক মেজ কাকিমার স্বামী বাইরে থাকেন। এ দিন দুপুরে রায়গঞ্জ থেকে পুলিশ কুকুর দিয়ে তদন্ত শুরু করে। পুলিশ কুকুর গিয়ে কাকিমার ঘরে ঢুকে আলমারির দিকে সঙ্কেত করে। পুলিশের সন্দেহ, শিশুটিকে খুন করে আলমারিতে প্রথমে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। পরে বাড়ির পিছনে একটি ঝোপে ফেলে দেওয়া হয়।

Advertisement

এদিন পুলিশ প্রথমে ওই শিশুর মা’কে দীর্ঘ ক্ষণ জেরা করে পরে অবশ্য ছেড়ে দেয়। ওই শিশুর মা বলেন, ‘‘মেয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে পড়াশোনা করত। শিক্ষক দিবসের দিন শিক্ষকদের উপহার দেওয়ার জন্য জেদ ধরে। আমি মেয়ের দাবি মেনে বাড়ির কিছুটা দূরে একটি দোকানে উপহার কিনতে যায়। মেয়ে তখন উঠোনে খেলছিল। দোকান থেকে ফিরে এসে দেখি মেয়ে নেই। দীর্ঘক্ষণ খোঁজখবর করার পর হদিশ না মেলায় রাতে গিয়ে ডালখোলায় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘কিন্ত পুলিশের কাছে ডায়েরি করা হলে পুলিশ কোন গুরত্ব দেয়নি।’’ তাঁর স্বামী শিলংয়ে একটি কারখানায় কাজ করেন। মেয়ের নিখোঁজের খবর পেয়ে শুক্রবার পৌছন বাবা। এ দিন পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ নিয়ে সরব হন স্থানীয়েরা। পুলিশ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রের খবর, পারিবারিক কোনও শত্রুতার জেরে শিশুকে শ্বাসরোধ করে খুন করে প্রমাণ লোপাট করার জন্য শিশুর দেহ লুকিয়ে রাখা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে। খুব শীঘ্রই ঘটনার কিনারা হয়ে যাবে। তবে কেন একটি নিস্পাপ শিশুকে খুন করা হল? পুলিশ জানিয়েছে, একাধিক বিষয় সামনে এসেছে। পুলিশ সন্দেহের বাইরে রাখছে না শিশুর মাকেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন