Suicide

Suicide: জোর করে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করার অভিযোগ, আত্মঘাতী ময়নাগুড়ির কিশোরী

ময়নাগুড়ির মধ্য শালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরী জল্পেশ লক্ষ্মীকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ময়নাগুড়ি শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৬:০৫
Share:

আত্মঘাতী অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। প্রতীকী ছবি।

তার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে দিয়েছে এক যুবক। তার জেরে আত্মঘাতী হল এক কিশোরী। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কিশোরীর বাড়ির লোকজনের দাবি, জোর করে ওই কিশোরীর ছবি তুলে তা ফেসবুকে পোস্ট করেছে ওই যুবক। এ নিয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত কিশোরীর পরিবার।
ময়নাগুড়ির মধ্য শালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরী জল্পেশ লক্ষ্মীকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তার পরিবারের অভিযোগ, চিন্ময় সরকার নামে মধ্য শালবাড়িরই এক যুবক ওই কিশোরীকে উত্যক্ত করত। চিন্ময় ওই কিশোরীর সঙ্গে জোর করে ছবি তুলে তা নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় বলেও অভিযোগ। তার জেরেই লজ্জায় ওই কিশোরী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ।

Advertisement

মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বাড়ির লোকের অজান্তে নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগায় ওই কিশোরী। বাড়ির লোকজন ডাকাডাকি করে কোনও সাড়াশব্দ পাননি। এর পর ঘরের জানালা ভেঙে তাঁরা কিশোরীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

ওই কিশোরীর এক আত্মীয়ের কথায়, ‘‘মেয়েটা স্কুল থেকে যখন ফিরত, তখন ছেলেটা বাইকে চড়ে ওর পিছন পিছন আসত। ওর পোস্ট করা ছবিটা ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই মেয়েটা আর কোনও উপায় না দেখে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে।’’

Advertisement

জিতেন রায় নামে কিশোরীর এক প্রতিবেশীর কথায়, ‘‘মেয়েটার বছর চোদ্দ বয়স। একটি ছেলের সঙ্গে ওর সম্পর্ক ছিল। সেই ছেলেটিই একটি ছবি ভাইরাল করে দিয়েছিল। তার জেরেই ওই মেয়েটি লজ্জায় অপমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমরা ছেলেটির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন