South Dinajpur Incident

দক্ষিণ দিনাজপুরে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ‘ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা’! বিজেপির নিশানায় শাসক তৃণমূল

ঘরের ভিতরে ঘুমিয়েছিল পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া, আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওই কিশোরী। অভিযোগ, বুধবার মধ্যরাতে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ করে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে খুন করার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত যুবক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৪ ১৬:৫৩
Share:

—প্রতীকী ছবি

দক্ষিণ দিনাজপুরে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ এক যুবকের বিরুদ্ধে। জেলার বংশীহারি থানা এলাকার একটি গ্রামের এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে গ্রামে এখনও উত্তেজনা রয়েছে। সেখানে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতরও শুরু হয়েছে। বিজেপির দাবি, অভিযুক্ত এবং তাঁর বাবা স্থানীয় তৃণমূল নেতা। রাজ্যের শাসকদলের বক্তব্য, ধর্ষণের মতো ঘটনার সঙ্গে দলের কেউ যুক্ত থাকলে, তা বরদাস্ত করা হবে না।

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা কিশোরী এবং তাঁর মা এক আত্মীয়ের বাড়ি থাকেন। আত্মীয়ের পরিবারের সকলেই ভিন্‌রাজ্যে দিনমজুরির কাজ করতে গিয়েছেন। বুধবার রাত ১টা নাগাদ ঘরের ভিতরে ঘুমিয়েছিলেন পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া, আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওই কিশোরী। ঘরের বাইরের বারান্দায় ঘুমোচ্ছিলেন কিশোরীর মা। অভিযোগ, ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ করে পরে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে খুন করার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত যুবক। মেয়ের চিৎকারে মা ছুটে এলে অভিযুক্ত যুবক তাঁকেও মারধর করেন বলে অভিযোগ। পরে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হলে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেন অভিযুক্ত।

রাতেই ঘটনার কথা জানতে পারে পুলিশ। শুরু হয় তল্লাশি। বৃহস্পতিবার সকালে পাশের একটি গ্রাম থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবারই তাঁকে আদালতে হাজির করানোর কথা। নিগৃহীতা কিশোরী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনা নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন স্থানীয় সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নিজের পোস্টে ঘটনার বিবরণ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করেন সুকান্ত।

Advertisement

এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী আরজি করের ঘটনার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, “রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। তৃণমূলের শাসনে মেয়েরা সুরক্ষিত নয়। এ বার আদিবাসীদের উপরেও অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূলের লোকজন।” স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুভাষ চাকি বলেন, “দলের যদি কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তবে তাঁর কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।” তাঁর সংযোজন, “বিজেপি সামাজিক সমস্যার বিষয়েও রাজনীতি খুঁজছে। গোটা দেশে মেয়েদের উপরে অত্যাচারের ঘটনায় তো বিজেপির অনেকেই যুক্ত বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement