ছিনতাই বাঁচাতে জখম মহিলা

চলন্ত রিকশা থেকে মহিলার ব্যাগ ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগ উঠল বাইক আরোহী দুই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ব্যাগ বাঁচাতে গিয়ে রিকশা থেকে পড়ে জখম হলেন ওই মহিলা। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির থানার মহানন্দা সেতু লাগোয়া চার্চ রোডে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কমল অগ্রবালও। এলাকার পুলিশি টহল বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৫ ০২:৪০
Share:

জখম মহিলা। —নিজস্ব চিত্র।

চলন্ত রিকশা থেকে মহিলার ব্যাগ ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগ উঠল বাইক আরোহী দুই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ব্যাগ বাঁচাতে গিয়ে রিকশা থেকে পড়ে জখম হলেন ওই মহিলা। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির থানার মহানন্দা সেতু লাগোয়া চার্চ রোডে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কমল অগ্রবালও। এলাকার পুলিশি টহল বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারও। শিলিগুড়ি পুলিশের এডিসি ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, ‘‘ঘটনার অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে। এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হবে।’’

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, এদিন সন্ধ্যার পর শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনে ট্রেনে ডুয়ার্স থেকে শহরে এসে পৌঁছান নবারুণ সরকার ও তাঁর পরিবার। নবারুণবাবু ছাড়া বাকি তিন জনই মহিলা ছিলেন। তাঁরা চারজন দুটি আলাদা রিকশায় উঠে মহানন্দা মোড় থেকে চার্চ রোডের রাস্তা ধরেন। তাঁদের বাড়ি শিলিগুড়ির আশ্রমপাড়ায়। সামনের রিকশায় ছিলেন নবারুণবাবু ও তার স্ত্রী। পিছনের রিকশায় তাঁর পিসি পূর্ণিমা সরকার ও আরও এক মহিলা ছিলেন। সেই সময় একটি দ্রুত গতিতে আসা বাইক থেকে এক যুবক পূর্ণিমাদেবীর ব্যাগ টেনে ধরে। ব্যাগ বাঁচাতে প্রাণপণে ব্যাগের হাতল আঁকড়ে ধরেন ওই মহিলা। টানাটানিতে রিকশা থেকে ছিটকে পড়েন ওই মহিলা। তার পায়ে, কোমরে ও হাঁটুতে চোট লাগে। তাঁকে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই মহিলা বলেন, ‘‘আমি শক্ত করে ব্যগটি ধরে থাকায় ওরা তা নিতে পারেনি। আমি টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যা‌ই। বাইকে দুই জন ছিল।’’

এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন এলাকার সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলর কমলবাবুও। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। বাণিজ্যিক এলাকা এবং অফিস, স্কুল থাকায় রাস্তাটি শনিবার, রবিবার খুব ফাঁকা থাকে। অন্যদিন রাত ৯ টার পরে পুলিশি টহলদারি বাড়ানোর দরকার।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন