Coronavirus

রিপোর্টে নেগেটিভ লেবু, রক্ষী আক্রান্ত

কোতোয়ালি পরিবারের এক সদস্য করোনা সংক্রমিত হওয়ায় দক্ষিণ মালদহের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু), সুজাপুরের বিধায়ক ইশা খান চৌধুরী-সহ পরিবারের অন্যান্যরা লালারস পরীক্ষা করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২০ ০৮:০০
Share:

ছবি সংগৃহীত

আবু নাসের খান চৌধুরীর (লেবু) করোনা রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসায় স্বস্তি ফিরল মালদহের কোতোয়ালিতে।

Advertisement

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, লেবু কলকাতার একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। ২৯ জুলাই তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছিল। তবে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর নিরাপত্তারক্ষী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। পাশাপাশি কোতোয়ালি বাড়ির এক অস্থায়ী পরিচারিকাও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁরা দু’জনেই গৃহ-নিভৃতবাসে রয়েছেন। কারও বাহ্যিক কোনও উপসর্গ নেই।

কোতোয়ালি পরিবারের এক সদস্য করোনা সংক্রমিত হওয়ায় দক্ষিণ মালদহের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু), সুজাপুরের বিধায়ক ইশা খান চৌধুরী-সহ পরিবারের অন্যান্যরা লালারস পরীক্ষা করেন। যদিও তাঁদের রিপোর্ট দু'দিন আগেই নেগেটিভ আসে বলে জানান ইশা। তিনি জানান, এই পরিস্থিতিতে তাঁরা কিছু দিন বাড়িতেই থাকবেন। রবিবার রাখিবন্ধন উৎসবেও কেউ বাইরে যান নি। দলীয় কয়েক জন নেতা-কর্মী কোতোয়ালি বাড়িতে এসে ডালু ও ইশার হাতে রাখি পরিয়ে দেন।

Advertisement

কোতোয়ালি পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছ’মাস পরপর স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য কলকাতায় যান লেবু। ২৭ জুলাই তিনি কলকাতার একটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য গিয়েছিলেন। তার আগে তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছিল। ২৯ জুলাই রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো হয়েছিল। সে দিনই লেবুকে কলকাতার একটি নামী নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়।

তাঁর স্ত্রী তন্দ্রা মণ্ডল খান চৌধুরী বলেন, ‘‘২ অগস্ট ওঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তবে চিকিৎসার জন্য আরও কয়েক দিন নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন থাকবেন।’’

এ দিকে সোমবার রাতে মালদহে করোনা আক্রান্ত দু’জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে এক জন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। হরিশ্চন্দ্রপুরের গোপিনাথপুরে বাড়ি ৫৫ বছরের ওই বাসিন্দার। কিছুদিন ধরে তিনি জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন। শুক্রবার তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। শনিবার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল। সোমবার রাতে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। রাতেই তিনি মারা যান। সোমবার রাতেই মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে রতুয়ার বাহারালের সাহাপুর গ্রামের ৫০ বছরের এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। তিন দিন আগে তার করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছিল। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ১৬ জনের।

এ দিকে সোমবার নতুন করে জেলায় ৫১ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি ল্যাবে ৩৫ জনের লালারসের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। বাকি ১৬ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে অ্যান্টিজেন টেস্টে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা হল ২৫৪২ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩২০ জন। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘করোনা সংক্রমিত দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মৃত্যুর কারণ কী ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন