পুলিশের তল্লাশি চলার সময়ে ছোটগাড়ির ধাক্কায় এক বৃদ্ধের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের বেকিডাঙ্গায়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে এই দুর্ঘটনায় মারা যান হিমাংশু বিশ্বাস (৬৩)। ওই এলাকাতেই তাঁর বাড়ি।
পেশায় কৃষক হিমাংশুবাবু এ দিন জাতীয় সড়কের ধার দিয়ে হেঁটে স্থানীয় বটতলা এলাকার একটি চাল কলে ধান ভাঙতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় মালদহ থেকে রায়গঞ্জগামী একটি ছোটগাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁকে ধাক্কা মারলে তিনি প্রায় ২০ ফুট দূরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেওয়ালে গিয়ে আছড়ে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশের তোলাবাজির হাত থেকে বাঁচতে চালক দ্রুত গতিতে পালাতে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।
দুর্ঘটনার পরেই বাসিন্দারা অজয় শীল নামে এক সাব ইন্সপেক্টরকে মারধর করে বলে অভিযোগ। বেগতিক বুঝে পালিয়ে যান আরও তিন পুলিশকর্মী। এরপর উত্তেজিত বাসিন্দারা পুলিশ কর্মীদের বসার চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। ছোটগাড়িটিতেও ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়। রায়গঞ্জ থেকে বিরাট পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। বাসিন্দারা পুলিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও যাননিয়ন্ত্রণের কাজে গাফিলতির অভিযোগ তুলে প্রায় এক ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশ ও প্রশাসনের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
জেলা পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌরের দাবি, নাকা তল্লাশির কাজে পুলিশের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের স্ট্যাটিস সার্ভিল্যান্স টিমের আধিকারিকেরাও ছিলেন। তিনি বলেন,‘‘চালক বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে ইটাহার থানার তরফে আমাকে জানানো হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ সঠিক নয় বলে আমার ধারণা।’’