কোথায় চন্দনার হোমের দুই শিশু

তদন্তের জাল যত গুটোচ্ছে, ততই ভেসে উঠছে নতুন নতুন অনিয়মের অভিযোগ।চন্দনা চক্রবর্তীর হোম থেকে ১৭টি শিশুকে দত্তক দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল। হোমের দেওয়া নথি মিলিয়ে কোন শিশু কোথায় রয়েছে, তা খোঁজ নিতে শুরু করে সিআইডি। তখনই দেখা যায় দু’টি শিশুর হদিশ নেই।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৭ ০২:২৪
Share:

তদন্তের জাল যত গুটোচ্ছে, ততই ভেসে উঠছে নতুন নতুন অনিয়মের অভিযোগ।

Advertisement

চন্দনা চক্রবর্তীর হোম থেকে ১৭টি শিশুকে দত্তক দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল। হোমের দেওয়া নথি মিলিয়ে কোন শিশু কোথায় রয়েছে, তা খোঁজ নিতে শুরু করে সিআইডি। তখনই দেখা যায় দু’টি শিশুর হদিশ নেই। তাঁরা দেশে না বিদেশে তা নিয়েও ধন্ধ রয়েছে।

হোম কর্তৃপক্ষের দাবি, গত বছর পুজোর পরে আমেরিকা এবং ফ্রান্স থেকে দুই দম্পতি তাঁদের কাছ থেকে শিশু দত্তক চান। সেই মতো হোম কর্তৃপক্ষও সরকারের কাছে শিশু দত্তক দেওয়ার আবেদন করেন। হোমের কর্ণধার চন্দনাকে শিশু বিক্রির অভিযোগে সিআইডি গ্রেফতারের পরে প্রশাসনের তরফেও সেই আবেদনগুলি খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, দত্তকের নথিতে ওই বিদেশি দম্পতিদের যে ঠিকানা ছিল, সেখানে ওই নামের কারও খোঁজ মিলছে না। ওই দম্পতিদের ই-মেল আইডিতে যোগাযোগ করেও কোনও উত্তর পায়নি প্রশাসন।

Advertisement

সন্দেহ, ভুয়ো নামেই দত্তক দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে ওই দু’টি শিশুকে কাদের হাতে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে চিন্তায় গোয়েন্দারা। তাঁরা চন্দনাকে লাগাতার জেরা করছেন। আবেদন দু’টি নিয়ে মে-তে আদালতে শুনানিও রয়েছে।

পাচারের অভিযোগে ধৃত সাস্মিতা ঘোষকে মঙ্গলবার সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালতে সাস্মিতা জানান, তিনি সরকারি নির্দেশ পালন করেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘সরকারি নির্দেশেই কাজ করেছি। প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরাও দায় এড়াতে পারেন না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement