শীত পড়তে সীমান্তে সক্রিয় পাচারকারীরা

বিএসএফ ঘটনাস্থল থেকে ২৬ টি গরু উদ্ধার করেছে।  ছররা গুলিতে ওপারের কয়েকজন পাচারকারী জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৪৪
Share:

শীত পড়তেই ঘন কুয়াশাকে কাজে লাগিয়ে মালদহের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে পাচারকারীরা। আর পাচার ঘিরে অশান্ত হতে শুরু করেছে এলাকা। মঙ্গলবার গভীর রাতেও কাঁটাতারের বেড়া কেটে গরু পাচারের চেষ্টা ঘিরে বিএসএফ ও পাচারকারীদের সংঘর্ষ বাঁধল সীমান্তে।

Advertisement

অভিযোগ, মালদহের কালিয়াচক ৩ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দৌলতপুর গ্রামে বাংলাদেশ ও এ পারের অন্তত জনা চল্লিশ পাচারকারী কাঁটাতারের বেড়া কেটে গরু পাচার করছিল। টহলরত বিএসএফের জওয়ানরা বাধা দিলে পাচারকারীরা হাঁসুয়া, দাঁ নিয়ে হামলা চালায়। বিএসএফও পাল্টা ছররা গুলি ছোড়ে। পাচারকারীরা গরু ফেলে পালিয়ে যায়। বিএসএফ ঘটনাস্থল থেকে ২৬ টি গরু উদ্ধার করেছে। ছররা গুলিতে ওপারের কয়েকজন পাচারকারী জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

কালিয়াচক ৩, হবিবপুর, বামনগোলা ও পুরাতন মালদহ ব্লকেরও সীমান্ত দিয়ে দেদারে গোরু পাচার চলছে বলে অভিযোগ। বিশেষ করে, জেলার ১৮০ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে কাঁটাতার না থাকা প্রায় ৪৫ কিলোমিটার এলাকা দিয়েই বেশি পাচার চলছে। বিএসএফের মালদহ সেক্টরের ডিআইজি অমরকুমার এক্কা বলেন, মঙ্গলবার রাতে জনা চল্লিশের একটি পাচারকারী দল দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে গোরু পাচারের চেষ্টা করছিল। তারা হামলা করায় টহলদারি জওয়ানরা ছররা গুলি ছোড়ে।’’ এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই বলে তিনি জানান।

Advertisement

যদিও স্থানীয় সূত্রে খবর, বাংলাদেশের তিন পাচারকারী বিএসএফের ছোড়া ছররা গুলিতে ঘায়েল হয়েছে। তাঁদের জখম অবস্থাতেই ও পারে নিয়ে গিয়েছে সঙ্গীরা। রাতের ওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় এক পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, ‘‘রাতে সীমান্তে আমরা গুলির শব্দ শুনেছি। পাচারকারীদের সঙ্গে বিএসএফের সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানতে পারি।’’

এ দিকে কালিয়াচক ৩ ব্লকের শোভাপুর সীমান্ত সূত্রে খবর, বাংলাদেশের চাপাই নবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার আলকুনি গ্রামে ও পারের বর্ডার গার্ড ব্যাটেলিয়ন ও বাংলাদেশ পুলিশ সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় এবং প্রচুর বিস্ফোরক, অস্ত্র উদ্ধার করে। দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিও চলে। শোনা যাচ্ছে, তিন সন্দেহভাজন জঙ্গি নাকি খতম হয়েছে। এর জেরে মালদহ সীমান্তে সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, শোভাপুর গ্রাম থেকে আলকুনি গ্রামের দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার। যদিও বিএসএফের মালদহ সেক্টরের ডিআইজি, এর সত্যতা স্বীকার করেননি। তিনি বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা সংক্রান্ত বিষয়ে এক মাসের বেশি সময় ধরেই সীমান্তে বিশেষ সতর্কতা জারি রয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন